বাংলাদেশ

খালেদার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

সোমবার (১৯নভেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে করা রিটের আদেশে তাকে পুনরায় মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন-সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

এর আগে খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও হাসপাতালে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার রিটের আদেশ পিছিয়ে সোমবার আদেশের দিন ধার্য করা হয়।

গত ১১ নভেম্বর আইনজীবী নওশাদ জমির খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট দায়ের করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, কারা কর্তৃপক্ষ, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষসহ নয় জনকে রিটে বিবাদী করা হয়। রিটে খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা চলমান রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।

এছাড়া তাকে (খালেদা জিয়া) কেন পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এই মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দেন। সেই সঙ্গে তার ছেলে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও জরিমানা করা হয়। এ রায়ের পরই আদালত থেকে কারাগারে নেয়া হয় খালেদা জিয়াকে।

এরপর বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে আপিল করেন এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি সালিমমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ।

আর বিচারিক আদালতের রায়ে খালেদাকে দেয়া সাজা বাড়াতে রিভিশন আবেদন করে দুদক। সাজা বহাল রাখার আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষও। এসব আপিলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে রায় দেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর থেকেই রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি