বাংলাদেশ

নির্বাচন কমিশন মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি: সুজন

নির্বাচন কমিশন এখনও মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। নির্বাচন কমিশনের কার্যকলাপের কারণেই তাদের ওপর আস্থার অভাব আছে মানুষের। মানুষ ভোট দিতে পারবে কিনা তা নিয়েও এখনও শঙ্কা আছে। নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। বললেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান।

রবিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সুজন আয়োগিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সুজন সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন মনে করেন বর্তমান পরিস্থিতি নৈরাশ্যজনক। মানুষ চায় সুশাসন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবারই ইশতেহার দেয়, কিন্তু পরে তা বেমালুম ভুলে যায়। অতীতের মতো নির্বাচনী ইশতেহার যেন নিতান্তই কথার ফুলঝুরিতে পরিণত না হয়। আমরা আশা করেছিলাম, দলগুলো তাদের ইশতেহার বাস্তবায়নে একটি কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা দেবে।

সুজন সভাপতি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ইশতেহার যথারীতি অনেকটা আগের মতোই। আমরা আশা করব, নির্বাচনের পর তারা ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে। গত নির্বাচনকে তো নির্বাচন বলা যায় না। আমরা আশা করছি, নির্বাচনের দিন ভোটারের উপস্থিতি হবে এবং নির্বাচনের পর দলগুলো তাদের ইশতেহার ভুলে যাবে না।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে এবারও উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতিতে পরিপূর্ণ। তবে এখানে নেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট কোনও কর্মপরিকল্পনা।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি বিরাজমান তাতে দেশের জন্য যা দরকার, আমরাও তা চাই, সেটা হলো গণতন্ত্র ও সুশাসন। এটা করতে হলে শুরুতেই একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।

এসময় সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোটাররা যদি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, তাহলে অনেকটাই শঙ্কা কেটে যাবে। ইসি-প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে নির্বাচন কমিশনকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতেরও তাগিদ দেন বদিউল আলম মজুমদার।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি