গায়ক আসিফ আকবর আজ (৮ মার্চ ২০১৫) রিয়্যালিটি শো নিয়ে
একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য তার আজকের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু
তুলে ধরা হল:বাংলাদেশের প্রথম রিয়্যালিটি শো ছিল নতুন
কুঁড়ি। বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হত ১৯৭৯-৮০ সালের দিকে।এই অনুষ্ঠান টি
চলেছে টানা কয়েক বছর। তখন ছিলোনা কোন স্পন্সর,কোন গাড়ী,ফ্ল্যাট কিংবা নগদ
টাকা। জনপ্রিয় ঐ অনুষ্ঠানটি থেকে উঠে এসে অনেকেই ইন্ডাষ্ট্রিতে এখনো ভূমিকা
রাখছে দোর্দন্ড প্রতাপে। তখন SMS কিংবা অন্য কোন ভোটা ভুটির ব্যাপার
ছিলোনা।তারপর শুরু হলো প্রতিভা অন্বেষণের
বানিজ্যিক কার্যক্রম। লাখো কোটি SMS সিদ্ধান্ত নেয়া শুরু করল কে হবে প্রথম
দ্বিতীয় থেকে টপ টেন। জাতিকে বোঝানো হলো সঙ্গীতে নতুন জোয়ার এসেছে, প্রতিটি
শো তেই বিচারক থাকেন, তাদের ক্ষমতা সীমিত, শেষ বিচারক SMS। বহুজাতিক,
স্বদেশী কিংবা আয়োজকরা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি দিয়ে তরুণদের ঢাকা মুখী করল। শুরু হল সঙ্গীত জগতে তারুন্যের ব্যাপক অংশগ্রহন।কথা
ছিল অন্ততঃ তিন বছর এ্যালবাম প্রকাশ সহ নানান ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে।
কিন্তু এ যে নির্বাচনের 7-up ছিলো !! নির্বাচন শেষ,7-up এর বোতল ঠিক আছে,
শুধু ঝাঁঝালো পানিটা নেই !! বাধ্য হয়ে জীবন যুদ্ধে নেমে গেল স্কুল কলেজ
পড়ুয়া ছেলে মেয়ে গুলো। যে স্বপ্ন তাদের দেখানো হয়েছিলো, সেগুলো পরিনত হলো
দূঃস্বপ্নে।লাভের মধ্যে লাভ শুধু পৈত্রিক
নামটার আগে টুথপেষ্ট, সাবান কিংবা গুড়ো দুধ এর কোন টাইটেল যুক্ত হয়েছে।
যারা স্বপ্ন দেখিয়েছিলো,তারা এখন টিনের চশমা পড়ে আবার নেমে গেছে পরবর্তী
শিকারের জন্য। ঘটনা বারবার হচ্ছে, আমরাও রীতিমত SMS ভোট যুদ্ধে নেমে
যাচ্ছি।পপ সম্রাট শ্রদ্ধেয় আজম খান (গুরু)
কে একটি পত্রিকা সঙ্গীতে অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা দিয়েছিলো। তিনি
এ্যাওয়ার্ডটি হাতে নিয়ে বলেছিলেন- আল্লাহ বাচাইসে এই এ্যাওয়ার্ডটা SMS
ভোটের মাধ্যমে পাই নাই।
গায়ক আসিফ আকবর আজ (৮ মার্চ ২০১৫) রিয়্যালিটি শো নিয়ে একটি স্ট্যাটাস
দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য তার আজকের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল:
বাংলাদেশের প্রথম রিয়্যালিটি শো ছিল নতুন কুঁড়ি। বাংলাদেশ
টেলিভিশনে প্রচারিত হত ১৯৭৯-৮০ সালের দিকে।এই অনুষ্ঠান টি চলেছে টানা কয়েক
বছর। তখন ছিলোনা কোন স্পন্সর,কোন গাড়ী,ফ্ল্যাট কিংবা নগদ টাকা। জনপ্রিয় ঐ
অনুষ্ঠানটি থেকে উঠে এসে অনেকেই ইন্ডাষ্ট্রিতে এখনো ভূমিকা রাখছে দোর্দন্ড
প্রতাপে। তখন SMS কিংবা অন্য কোন ভোটা ভুটির ব্যাপার ছিলোনা।
তারপর শুরু হলো প্রতিভা অন্বেষণের বানিজ্যিক কার্যক্রম।
লাখো কোটি SMS সিদ্ধান্ত নেয়া শুরু করল কে হবে প্রথম দ্বিতীয় থেকে টপ টেন।
জাতিকে বোঝানো হলো সঙ্গীতে নতুন জোয়ার এসেছে, প্রতিটি শো তেই বিচারক থাকেন,
তাদের ক্ষমতা সীমিত, শেষ বিচারক SMS। বহুজাতিক, স্বদেশী কিংবা আয়োজকরা
প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি দিয়ে তরুণদের ঢাকা মুখী করল। শুরু হল সঙ্গীত জগতে
তারুন্যের ব্যাপক অংশগ্রহন।
কথা ছিল অন্ততঃ তিন বছর এ্যালবাম প্রকাশ সহ নানান ভাবে
পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে। কিন্তু এ যে নির্বাচনের 7-up ছিলো !! নির্বাচন
শেষ,7-up এর বোতল ঠিক আছে, শুধু ঝাঁঝালো পানিটা নেই !! বাধ্য হয়ে জীবন
যুদ্ধে নেমে গেল স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়ে গুলো। যে স্বপ্ন তাদের দেখানো
হয়েছিলো, সেগুলো পরিনত হলো দূঃস্বপ্নে।
লাভের মধ্যে লাভ শুধু পৈত্রিক নামটার আগে টুথপেষ্ট, সাবান
কিংবা গুড়ো দুধ এর কোন টাইটেল যুক্ত হয়েছে। যারা স্বপ্ন দেখিয়েছিলো,তারা
এখন টিনের চশমা পড়ে আবার নেমে গেছে পরবর্তী শিকারের জন্য। ঘটনা বারবার
হচ্ছে, আমরাও রীতিমত SMS ভোট যুদ্ধে নেমে যাচ্ছি।
পপ সম্রাট শ্রদ্ধেয় আজম খান (গুরু) কে একটি পত্রিকা সঙ্গীতে
অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা দিয়েছিলো। তিনি এ্যাওয়ার্ডটি হাতে নিয়ে
বলেছিলেন- আল্লাহ বাচাইসে এই এ্যাওয়ার্ডটা SMS ভোটের মাধ্যমে পাই নাই। - See more at: http://www.priyo.com/2015/03/08/137501.html#sthash.cQaoRBQv.dpuf