বাংলাদেশ

চলে গেলেন প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই।

মঙ্গলবার সকালে তিনি রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছেলে সামির আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মৃত্যুকালে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে সকাল সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, তিনি সম্ভবত ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল প্রায় এক বছর ধরে নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ২০১৮ সালের জুনে তার হৃদযন্ত্রের ধমনীতে দুটি স্টেন্ট লাগানো হয়েছিল।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার এবং সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তিনি কয়েকশ’ চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। তার করা গানগুলো এখনও শ্রোতা-দর্শকদের মুখে মুখে ফেরে।

বুলবুলের লেখা ও সুর করা বহু জনপ্রিয় গানের শিল্পী রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, অ্যান্ড্রু কিশোর, প্রয়াত খালিদ হাসান মিলু, কনকচাঁপা, সামিনা চৌধুরী ও মনির খান।

‘সব ক’টা জানালা খুলে দাও না’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বৌ সাজিয়ে’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘ঘুমিয়ে থাকো গো স্বজনী’, ‘চিঠি লিখেছে বউ আমার’, ‘জাগো বাংলাদেশ জাগো’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’, ‘সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ানি মাসি হতে দেব না’— এ রকম অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা গানের সুর করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।

তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি