জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রোববার ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
দিনভর থেমে থেমে এই সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শাহীন মোল্লাসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। পরে তারা স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রেমঘটিত কারণে এবং আধিপত্য নিয়ে সকাল ১০টার দিকে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে বিকেলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সংগঠন জবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে। একইসঙ্গে ঘটনার অধিকতর তদেন্ত চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন, সোহান খান, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আল নাহিয়ান খান জয় ও ইয়াজ আল রিয়াদ।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেলের কর্মী তুহিনকে মারধর করেন সভাপতি তরিকুল ইসলামের কর্মীরা। এ ঘটনায় পরে সম্পাদকের কর্মীরা একত্রিত হয়ে সভাপতির কর্মী মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১১তম ব্যাচের নয়ন ও রিফাতকে মারধর করেন।
এরই জের ধরে রোববার সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় হেলমেট পরে রাম দা, ছুরি, হকিস্টিক নিয়ে উভয়পক্ষের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দিতে দেখা যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে ক্যাম্পাসে একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশের উপস্থিতিতেই এই সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এক পর্যায়ে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করতে সমর্থ হয়। কিন্তু, একটা পর্যায়ে শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সহকারী প্রক্টর শাহীন মোল্লাকে আঘাত করা হলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ক্যাম্পাসে প্রায়ই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। এতে তারা আতঙ্কিত।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আর জবির প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদকে ফোন দেয়া হলে পরে কথা বলবেন বলে রেখে দেন। পরে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মশিউর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয়ে আগে মারধরের জেরে রোববার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কার্যক্রম স্থগিত, তদন্তের নির্দেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় সংগঠন।
রোববার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং দলীয় শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে নেতৃবৃন্ধের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ঘাটতি পরিলক্ষিত হওয়ায় তাদের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।
একইসঙ্গে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় নেতা সোহান খান, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আল নাহিয়ান জয়, ইয়াদ আল রিয়াদকে নিয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে এই কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
দিনভর থেমে থেমে এই সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শাহীন মোল্লাসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। পরে তারা স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রেমঘটিত কারণে এবং আধিপত্য নিয়ে সকাল ১০টার দিকে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে বিকেলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সংগঠন জবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে। একইসঙ্গে ঘটনার অধিকতর তদেন্ত চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন, সোহান খান, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আল নাহিয়ান খান জয় ও ইয়াজ আল রিয়াদ।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেলের কর্মী তুহিনকে মারধর করেন সভাপতি তরিকুল ইসলামের কর্মীরা। এ ঘটনায় পরে সম্পাদকের কর্মীরা একত্রিত হয়ে সভাপতির কর্মী মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১১তম ব্যাচের নয়ন ও রিফাতকে মারধর করেন।
এরই জের ধরে রোববার সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় হেলমেট পরে রাম দা, ছুরি, হকিস্টিক নিয়ে উভয়পক্ষের কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দিতে দেখা যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে ক্যাম্পাসে একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশের উপস্থিতিতেই এই সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এক পর্যায়ে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করতে সমর্থ হয়। কিন্তু, একটা পর্যায়ে শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সহকারী প্রক্টর শাহীন মোল্লাকে আঘাত করা হলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ক্যাম্পাসে প্রায়ই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। এতে তারা আতঙ্কিত।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আর জবির প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদকে ফোন দেয়া হলে পরে কথা বলবেন বলে রেখে দেন। পরে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মশিউর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয়ে আগে মারধরের জেরে রোববার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কার্যক্রম স্থগিত, তদন্তের নির্দেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় সংগঠন।
রোববার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং দলীয় শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে নেতৃবৃন্ধের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ঘাটতি পরিলক্ষিত হওয়ায় তাদের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।
একইসঙ্গে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় নেতা সোহান খান, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আল নাহিয়ান জয়, ইয়াদ আল রিয়াদকে নিয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে এই কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি