বাংলাদেশ

কারাগারে খালেদার এক বছর, মুক্তির জন্য প্রয়োজন ৪ মামলার জামিন

এক বছর হলো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারাবাস। গতবছর ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের পর তাকে নাজিমউদ্দীন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। কারাগারে খালেদা জিয়াকে আদালতের নির্দেশ মেনে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে কতৃপক্ষ জানিয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কারাগারে একটি ভবনের কক্ষে তাকে রাখা হয়েছে। এ জন্য মহিলা কারারক্ষী সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছে। কারাবিধি অনুযায়ী এছাড়া অন্যসব সুবিধাগুলো দেওয়া হচ্ছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।’

খালেদার আইনজীবীরা গণমাধ্যমকে জানান, আপাতত চারটি মামলায় জামিন পেতে হবে প্রাক্তন এ প্রধানমন্ত্রীকে। অরফানেজ মামলায় হাইকোর্টে ১০ বছরের সাজার মামলায় জামিন নিতে হবে। এছাড়া কুমিল্লায় হত্যা মামলা ও মানহানির মামলায় তার জামিন হয়নি এখনো। এসব মামলার ১৬টি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে। ২০টি মামলার কোনোটিতে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চোখে প্রচÐ ব্যথা, পা ফুলে গেছে। একা একা হাঁটতে পারেন না। খালেদা জিয়ার বয়স ৭৩ বছর।

উল্লেখ্য, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে ৪টি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের গত দশ বছরে আরও ৩২টি মামলা রয়েছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ৫টি, নাশকতার ১৬টি, মানহানির ৪টি, ৩টি হত্যা, মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে ২টি, রাষ্ট্রদ্রোহের একটি, ভুয়া জন্মদিন পালনের একটি, প্রাক্তন নৌমন্ত্রীর ওপর বোমা হামলার একটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।