বাংলাদেশ

ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি

সচিবালয়ের পাশে অবস্থিত বিদ্যুৎ ভবনে টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের মধ্যে একজনের নাম আল-মামুন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনে টেন্ডার দাখিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। টেন্ডার জমাদানে বাধা দেয়ায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় একজন অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প কর্মকর্তার গাড়িতে গুলি লাগলে কাচ ভেঙে যায়। প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের কেন্দ্র বিন্দু সচিবালয়ের পার্শ্বে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। এমনকি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকেও দর্শকের ভুমিকায় আশপাশে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এ সময়ে সচিবালয়ের পরিবহন পুলের সামনে ২ টি এবং সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের সামনে একটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির ঘটনায় কোন ততপরতা দেখা না গেলেও ককটেল বিস্ফোরনের পর ঘটনাস্থলেঅর্ধশতাধিক পুলিশ দৌড়ে আসে।সাংবাদিকরা ছবি তুলতে শুরু করলে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের ততপরতা হঠাত করে বেড়ে যায়। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ককটেল  বিস্ফোরনের সময় ১০/১২জন পুলিশ সদস্য সচিবালয়ে ফুটপাতের র্যালিংয়ের ওপর বসেছিল। ক্যাডাররা পুলিশের সামনে দিয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এব্যাপারে শাহবাগ থানার ওসি জানান, বিদ্যুত ভবনে দু গ্রুপের মধ্যে টেন্ডার নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।