বাংলাদেশ

রমণীরা আপনারা নাচেন-আমি টাকা ওড়াব, ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে শাবি শিক্ষকের মন্তব্য

অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বলে মন্তব্য করারা অভিযোগ এসেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের ওপর। তিনি ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তালুকদার মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ছাত্রীদের নাচের এক অনুশীলনীতে উপস্থিত হয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-ই-এর ৪১৯ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীরা।

ওই অভিযোগপত্রে উল্লেখিত এক প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের নাচ-গানের অনুশীলন কক্ষে হঠাতই প্রবেশ করেন অভিযুক্ত শিক্ষক মিসবাহ উদ্দিন।

এ সময় ওই কক্ষে অনুশীলনরত কয়েকজন ছাত্রীর উদ্দেশ্য তিনি বলে ওঠেন, রমণীরা আপনারা নাচেন, আমি দেখি।

শুধু এ কথা বলেই ক্ষান্ত হননি তিনি, হাতে টাকা নিয়ে তিনি ওই ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ আপনাদের নাচের প্রতিটি মুদ্রায় আমি টাকা ওড়াব।

শিক্ষকের মুখে এমন সব কথা শুনে হতভম্ব হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করেন বলেন, আপনার বলা এসব কথা আপত্তিকর ও আমাদের জন্য অপমানজনক। এখানে টাকারর জন্য আমরা নাচছি না। আমরা কোনো প্রকারের বাইজি নই। তাছাড়া নাচ একটা শিল্প, সংস্কৃতি।

এসময় ওই শিক্ষক তাদের কথার কোনো মূল্য না দিয়ে নিজের ইচ্ছাকেই চরিতার্থ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি তখন পাল্টা জবাবে টাকা উড়িয়ে বলেন, এভাবে টাকা ওড়ানোটাও একটা শিল্প। টাকা এভাবেই আসে-যায়।

ছাত্রীদের সঙ্গে ইংরেজি বিভাগের ওই সহকারী অধ্যাপকের এমন আচরণ এবং পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায়।

তিনি বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্শক অভিযুক্ত শিক্ষক তালুকদার মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন বলেন, রসিকতা করে কিছু কথা বলেছিলাম, শিক্ষার্থীরা ব্যাপারটা এতো খারাপভাবে নিবে বুঝতে পারিনি।

তবে টাকা ওড়ানোর বিষয়টা শিক্ষার্থীরা বাড়িয়ে বলেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

জানা গেছে, ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইংলিশ কাউন্সিলের মিটিংয়ের মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক তালুকদার মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিনকে ওই ব্যাচের কোর্স থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি