বাংলাদেশ

বাংলাদেশে ১০ বছরে সড়কে ২৫,৫২৬ জনের প্রাণহানী

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রধান চারটি মহাসড়কের পাশে গাড়িচালকদের জন্য সরকার বিশ্রামাগার ও পার্কিং স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।

বুধবার সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য মো. মুজিবুল হকের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মহাসড়কে চালকদের একটানা ৫ ঘণ্টার অতিরিক্ত সময়ে গাড়ি না চালাতে এবং তাদের জন্য মহাসড়কে বিশ্রামাগার স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ লক্ষ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কুমিল্লার নিমসারে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে সিরাজগঞ্জের পাঁচলিয়ায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে হবিগঞ্জের জগদীশপুরে এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মাগুরা জেলার লক্ষ্মীকান্ত নামক স্থানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বিশ্রামাগার ও পার্কিং স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যে ডিপিপি অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট (এসইআইপি) প্রকল্পের আওতায় ৫ বছরে মোট ১ লাখ দক্ষ গাড়িচালক সৃষ্টি করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিআরটিসি প্রকল্প মেয়াদে অর্থাৎ ২০২২ সালের মধ্যে মোট ৩৬ হাজার গাড়িচালক তৈরি করবে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে ৮ হাজার গাড়িচালকের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হবে।

মো. মুজিবুল হকের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা কম হয়েছে, তবে মৃত্যুর হার বেশি ছিল। থ্রি হুইলার, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, লেগুনা, নসিমন, করিমন নিয়ম ভেঙে মহাসড়কে উঠে যাওয়ায় দুর্ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে এবং মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ছোট-ছোট যানবাহন চলাচলে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। দুর্ঘটনা রোধে সড়ক শৃঙ্খলার ব্যাপারে মন্ত্রী সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

১০ বছরে সড়কে ২৫ হাজার ৫২৬ জনের প্রাণহানী

সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের সংখ্যা জানতে চেয়ে বিএনপি সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংসদকে জানান, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত গত ১০ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ২৫ হাজার ৫২৬ জন মানুষ মারা গেছে। একই সময়ে ১৯ হাজার ৭৬৩ জন আহত হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ প্রসঙ্গে হারুনুর রশীদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের পথচারীসহ সড়ক ব্যবহারকারীদের যথাযথ সচেতনতার অভাব, যানবাহনের চালকদের দক্ষতার অভাব, আইন অমান্য করার প্রবণতা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব, যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটি, ওভার স্পিড, ওভারটেকিং, ওভারলোডিং, প্রতিকূল বা বিরূপ আবহাওয়ায় সড়কে মানসম্মত সাইন-সিগনাল রোড মার্কিংসহ নিরাপত্তা অবকাঠামোর অভাবের কথা উল্লেখ করেন।