বাংলাদেশ

রিফাত ফরাজী গ্রেফতার

টানা সাতদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানোর পর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামী রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে বরগুনায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে রিফাতকে হাজির করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর টানা সাতদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রিফাত শরীফ হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর আগে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ও মামলার এক নম্বর আসামী নয়ন বন্ড সোমবার দিবাগত রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় সবশেষ রিফাত ফরাজীসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন রিমান্ডে রয়েছে।

গ্রেপ্তার অপর নয়জন হলেন- হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামী জয় চন্দ্র সরকার ওরফে চন্দন, নয় নম্বর আসামী হাসান, ১১ নম্বর আসামী ওলি উল্লাহ ওলি, ১২ নম্বর আসামী টিকটক হৃদয় ও সন্দেহভাজন নাজমুল হাসান, তানভীর হোসেন, কামরুল হাসান সাইমুন, সাগর এবং রাফিউল ইসলাম রাব্বি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাত শরীফকে (২৩) স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে জখম করে একদল যুবক। বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিফাতের মৃত্যু হয়।

রিফাতের ওপর হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, দুই যুবক রামদা হাতে রিফাতকে একের পর এক আঘাত করে চলেছে। আর তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি স্বামীকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামাতে পারেননি তিনি। তারা রিফাত শরীফকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রিফাত ফরাজী প্রথম রিফাত শরীফকে কোপানো শুরু করে এবং ঘটনাস্থল থেকে বীরদর্পে নয়নের সঙ্গে চলে যায়। এসময় তার গায়ে কালো শার্ট ও চোখে কালো সানগ্লাস ছিল। রিফাত ফরাজীর বিরুদ্ধে এলাকায় মোবাইল ছিনতাই, তুচ্ছ ঘটনায় কুপিয়ে যখম, মাদক ব্যবসাসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে।