বাংলাদেশ

গ্যাসের দাম বাড়ানোয় সবাই লাভবান হবো : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সবসময় যদি সরকারকে ভর্তুকি দিতেই হয় তাহলে কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। কাজেই সবদিক বিচার-বিবেচনা করে গ্যাসের দাম বাড়াতে হয়েছে।এতে করে কিছু কিছু মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরোক্ষভাবে আমরা সবাই লাভবান হবো। সার্বিক অর্থনীতির ওপরে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সংসদে রোববার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের পক্ষে প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময় সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীণ শারমিন বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন।

জাসদের শিরীন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের ড. রাজ্জাক আরও বলেন, গ্যাসের দাম বেশ কয়েকবার বেড়েছে এবং প্রতিক্রিয়াও হয়েছে যে দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি। স্বীকার করি দাম বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গ্যাস, কয়লা বা ডিজেল লাগে। এতে আমাদের অনেক ভর্তুকি দিতে হয়। এক্ষেত্রে আমাদের চিন্তা করতে হবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে কিছুটা দাম বাড়লেও এর নানামুখী প্রভাব, অর্থাৎ শিল্পকারখানা স্থাপনসহ সার্বিক অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়বে, সেটা বিবেচনা করতে হবে।

ড. রাজ্জাক আরও বলেন, আমাদের দেশে বড় প্রয়োজন শিল্পকারখানা গড়ে তোলা। আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করছে। তারা লেখাপড়া শেষে কিন্তু গ্রামের মাঠে গিয়ে আর কৃষি কাজ করবে না। তাদের জন্য চাকরি দরকার। সেই চাকরির জন্য শিল্পকারখানা করা দরকার। আর শিল্পকারখানার জন্য সব থেকে বড় অন্তরায় ছিল জ্বালানি। আমরা এলএনজি বিদেশ থেকে আমদানি করে গ্যাস সরবারের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে ৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট আসছে। বেসরকারি খাতের সামিট পাওয়ার ৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট আনছে। ফলে অনেকটা স্বস্তি এসেছে।

অপর এক সম্পূরক প্রশ্নে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম সংসদের অধিবেশন চলমান অবস্থায় সংসদকে না জানিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো বৈধ কিনা, তা জানতে চান। জবাবে ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ বিষয়ে আমার বিস্তাারিত জানা নেই। সংসদ সদস্য নোটিশ দিলে সঠিক উত্তর পাবেন।