বাংলাদেশ

কেন কাঁদলেন প্রধান বিচারপতি সিলেট কারাগারে গিয়ে?

কারাগার পরিদর্শনে গিয়ে আবেগে অশ্র“সিক্ত হলেন প্রধান
বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা)।পরিদর্শন শেষে কারাগার ও কয়েদি সম্পর্কেনিজের ধারণা পাল্টে যাওয়ার কথা জানান প্রধানবিচারপতি। সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলাআইনজীবি সমিতির দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেকারাগার ও কয়েদি সর্ম্পকে নিজের অনুভূতি প্রকাশকরেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেয়ার পর সোমবারবিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনকরেন এসকে সিনহা। এসময় তিনি কারাগার ঘুরেদেখেন, কথা বলেন সেখানকার নানা বয়েসি পুরুষও মহিলা হাজতিদের সাথে। খোঁজ নেন কারাগারেরকর্মীদের ব্যাপারেও।সন্ধ্যায় সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির দেয়াসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কারাগার পরিদর্শনে নিজেরঅনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি। অনুভূতি প্রকাশ করতেগিয়ে তিনি বলেন- সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারপরিদর্শনের পর কারাগার ও কয়েদি সম্বন্ধে আমারধারণা পাল্টে গেছে। কারাবন্দিদের দেখে এবংতাদের কথা শুনে আমার চোখে জল এসে যায়। সকলবিচারকের কারাগার পরিদর্শন করা উচিত।বক্তব্যকালে এসকে সিনহা জানান- কারাগারপরিদর্শনকালে এক যুবতী তাকে জানিয়েছেন ৫৪ধারায় আটক হয়ে ৮ মাস ধরে তিনি বন্দি আছেন।আপনজন কেউ না থাকায় তাকে মুক্ত করার উদ্যোগনিচ্ছেন না কেউ।প্রায় ১০ বছর ধরে জেলবন্দী এক ব্যক্তির কথাওউল্লেখ করেন তিনি। স্বাক্ষীর অভাবে ১০ বছরধরে ওই ব্যক্তির মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না।কারাগার পরিদর্শনকালে অনেক বয়োবৃদ্ধকারাবন্দীদের সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারেও বলেনএস কে সিনহা। তিনি বলেন- জীবনের শেষ সময়টাকারাগারে কাটানো বেদনাদায়ক।উল্লেখ্য- সোমবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয়কারাগার পরিদর্শনে এসে প্রধান বিচারপতিমহিলা ওয়ার্ড, রান্নাঘর ও একটি হাজতী ওয়ার্ডপরিদর্শন করেন। এছাড়া তিনি কারাগারেরভিতরে একটি কমলা গাছের চারা রোপন করেন।