ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গোপালগঞ্জে এক নারী, ঢাকায় এক স্কুলছাত্র এবং রংপুরে এক যুবক মারা গেছেন। যশোর ও সিরাজগঞ্জে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।
গোপালগঞ্জে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি বাদল সাহা জানান, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহমুদা বেগম (৩৫) নামে এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে আজ মঙ্গলবার ভোরে ওই মহিলার মৃত্যু হলেও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: অসিত কুমার মল্লিক সন্ধ্যায় মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর পৌনে ২ টার দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মাহমুদ বেগম। এরপর থেকে তার অবস্থার অবনতি হয়ে মঙ্গলবার মারা যান তিনি। নিহত মাহমুদা বেগম পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের আমির হোসেনের স্ত্রী।
ঢাকায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মো. জিসান (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে জিসান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সে গাজীপুর জয়দেবপুরের মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে। স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল জিসান। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট।
জানা গেছে, সে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিল।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জিসানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রংপুরে যুবকের অবস্থার উন্নতির পর মৃত্যু
রংপুর থেকে রাইজিংবিডির নিজস্ব প্রতিবেদক নজরুল মৃধা জানিয়েছেন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাহাতাব উদ্দিন (২৪) নামে এক যুবক মারা গেছেন। মাহাতাবের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায়। রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. সুলতান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. সুলতান আহমেদ জানান, ১৮ আগস্ট মাহাতাব ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে মাহাতাবকে সোমবার সকালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়। রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুজন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন বলে জানান তিনি।
যশোরের ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না
রাইজিংবিডির যশোর সংবাদদাতা বি এম ফারুক জানিয়েছেন, যশোরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নতুন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। গত ৩৭ দিনে জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেনারেল হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন। এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ১৯ জন। এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে ১০৪ জন।
তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু জানিয়েছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ দুজন রোগী বেশি ভর্তি হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরো ২৪
রাইজিংবিডির সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা অদিত্য রাসেল জানিয়েছেন, সিরাজগঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্য বেড়েই চলেছে। ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাপালে ৪৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৬৯ জন। এদের মধ্যে ৫২২ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন।
সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা দরকার। পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিশেষ করে, যেখানে পানি আটকে থাকে সেই স্থানগুলো সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
কেউ আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিকিৎসকের কাছে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।
গোপালগঞ্জে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি বাদল সাহা জানান, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহমুদা বেগম (৩৫) নামে এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে আজ মঙ্গলবার ভোরে ওই মহিলার মৃত্যু হলেও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: অসিত কুমার মল্লিক সন্ধ্যায় মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর পৌনে ২ টার দিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মাহমুদ বেগম। এরপর থেকে তার অবস্থার অবনতি হয়ে মঙ্গলবার মারা যান তিনি। নিহত মাহমুদা বেগম পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের আমির হোসেনের স্ত্রী।
ঢাকায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মো. জিসান (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে জিসান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সে গাজীপুর জয়দেবপুরের মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে। স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল জিসান। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট।
জানা গেছে, সে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিল।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জিসানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রংপুরে যুবকের অবস্থার উন্নতির পর মৃত্যু
রংপুর থেকে রাইজিংবিডির নিজস্ব প্রতিবেদক নজরুল মৃধা জানিয়েছেন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাহাতাব উদ্দিন (২৪) নামে এক যুবক মারা গেছেন। মাহাতাবের বাড়ি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায়। রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. সুলতান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. সুলতান আহমেদ জানান, ১৮ আগস্ট মাহাতাব ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। এরপর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে মাহাতাবকে সোমবার সকালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়। রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুজন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন বলে জানান তিনি।
যশোরের ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না
রাইজিংবিডির যশোর সংবাদদাতা বি এম ফারুক জানিয়েছেন, যশোরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নতুন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। গত ৩৭ দিনে জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেনারেল হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন। এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ১৯ জন। এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে ১০৪ জন।
তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু জানিয়েছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ দুজন রোগী বেশি ভর্তি হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরো ২৪
রাইজিংবিডির সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা অদিত্য রাসেল জানিয়েছেন, সিরাজগঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্য বেড়েই চলেছে। ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাপালে ৪৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৬৯ জন। এদের মধ্যে ৫২২ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন।
সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা দরকার। পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিশেষ করে, যেখানে পানি আটকে থাকে সেই স্থানগুলো সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
কেউ আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিকিৎসকের কাছে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।