বাংলাদেশ

রিফাত হত্যা: মিন্নিকে ৭ নম্বর আসামি করে চার্জশিট

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে ৭ নম্বর আসামি করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এই মামলায় মিন্নিসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পাঁচ দিন পর রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বরগুনার সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন বলেন, ‘বয়সের কারণে দুই ভাগে ভাগ করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছেন। বাকি ১৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক। প্রাপ্তবয়স্ক তালিকার ১ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজী এবং এই তালিকায় ৭ নম্বর আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। অপ্রাপ্ত বয়স্ক আসামির তালিকায় ১ নম্বর আসামি রিশান ফরাজী।’

এছাড়াও মামলার প্রধান আসামি বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে মিন্নিসহ ১৫ জন গ্রেফতার রয়েছেন, বাকিরা পলাতক বলেও জানান তিনি।

গ্রেফতার আসামিরা হচ্ছে- রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়, সাগর, কামরুল হাসান সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবন, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল সিকদার ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।

মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি মুসা বন্ড, ৭ নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, ৮ নম্বর আসামি রায়হান ও ১০ নম্বর আসামি রিফাত হাওলাদারকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। একাধারে রিফাতকে কুপিয়ে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে হামলাকারীরা। তারা চেহারা লুকানোরও কোনও চেষ্টা করেনি। গুরুতর আহত রিফাতকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।