বাংলাদেশ

রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় এসেছে: ফখরুল


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে এই সরকার জোর করে ২৯ তারিখ রাতে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। এই সরকার অত্যন্ত সচেতন ভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। একটিমাত্র উদ্দেশ্য, তারা এই রাষ্ট্রকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। কয়দিন আগে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলেছেন, বাংলাদেশে যে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে সেটি সঠিক নয়। তারা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট, টাকা পাচারের কারণে। তিনি বলেন, দেশ থেকে যে পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে তা দিয়ে পাঁচটি  পদ্মা সেতু করা যেত।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদিকে বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস, প্রশাসন ধ্বংস, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের সমস্ত অধিকারকে হরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার কারণে তাকে অন্যায় ভাবে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর যখন পঞ্চদশ সংশোধনী করা হলো তখনই তিনি বলেছেন, এই সংসদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে পরিণত করা হবে এবং এখন তাই চলছে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ কতৃক আয়োজিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী তরিকুল ইসলামের এর স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরে উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সাদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, ব্যারষ্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বেগম সেলিমা রহমান, তরিকুল ইসলামের স্ত্রী প্রফেসর নার্গিস বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ্ বুলু, মোহাম্মদ শাজহান, শামসুজ্জামান দুদু, এ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ন মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল,সেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শফিউল বারী হেলাল, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, বেগম জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ সমস্ত দেশে যে অত্যাচার-নির্যাতন ছড়িয়ে পড়ছে, অনেক সময় মনে হয় তা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের নির্যাতন কে ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২৬ লক্ষ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। পাঁচ শতাধিক মানুষকে গুম করে দিয়েছে, হাজারের অধিক মানুষকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য, এই বিরোধী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য তারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে।