বাংলাদেশ

কাটল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শঙ্কা, নামল বিপদ সংকেত


ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ নিয়ে শঙ্কা কেটে গেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এখন আর বিপর্যয়ের কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এজন্য ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত থেকে নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি এখন গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে আগামী দুদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এখন থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে রবিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান, সুন্দরবনের কারণে বড় বিপর্যয় থেকে বেঁচে গেছে দেশ। এছাড়া বুলবুল যে গতিতে আসার কথা ছিল, সেই গতিতে আসেনি। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের তিন দিকেই সুন্দরবন জুড়ে ছিল। যেহেতু ঘূর্ণিঝড় উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, সুন্দরবনের কারণে তার অবস্থানের পরিবর্তন কমে এসেছে। ঘূর্ণিঝড়ের নিজস্ব শক্তিও কমে আসে। এ কারণে উপকূল অতিক্রম করতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের দীর্ঘক্ষণ সময় লেগেছে।’

এর আগে অনেকটা দুর্বল হয়ে শনিবার রাতে খুলনা উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। এতে সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, বরগুনাসহ কয়েকটি উপকূলীয় জেলায় ঘরবাড়ি ও গাছগাছালির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পটুয়াখালীতে একজন এবং খুলনায় গাছচাপায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।