বাংলাদেশ

জরুরি ভিত্তিতে পেঁয়াজ আসছে বিমানে

দেশে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে কার্গো বিমানে করে পেঁয়াজ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ শুক্রবার দৈনিক আমাদের সময়কে বিষয়টি জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন।

সচিব বলেন, ‘আপদকালীন চাহিদা মেটাতে মিশর ও তুরস্ক থেকে কার্গো বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। আগামী সপ্তাহের সোম অথবা মঙ্গলবার এই পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছাবে। তারপর টিসিবির মাধ্যমে সারা দেশে ব্যাপকভিত্তিতে পেঁয়াজ বিপণন করা হবে।’

বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন বলেন, ‘সরকার এই প্রথম নিজ উদ্যোগে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। নতুন পেঁয়াজ আসার আগ পর্যন্ত এবং সমুদ্র পথে পেঁয়াজ আসার আগ পর্যপ্ত এভাবে চালিয়ে নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু মিশর-তুরস্ক নয়, ইউক্রেইন, আফগানিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে বিমানযোগে পেঁয়াজ আনতে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

দুই মাস ধরে পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে বাড়তে কেজি প্রতি ২০০ টাকা পেরিয়েছে। একদিনের ব্যবধানে গতকাল বৃহস্পতিবার কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। রাজধানী ঢাকার বাজারে দাম ছিল ২২০ টাকা। ঢাকার বাইরে ১৭০ থেকে ২১০ টাকা পেঁয়াজ বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। এটি পেঁয়াজের দামের রেকর্ড।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সকালের সঙ্গে রাতের দামের ব্যবধান অন্তত ৩০ টাকা। অর্থাৎ সকালে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা; রাতে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।

দাম বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত দুই মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৭৫ টাকা। চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। গত মঙ্গলবারও ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। বুধবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭০ থেকে ১৮০তে।

ঢাকার বাইরেও পেঁয়াজের বাজারে আগুন লেগেছে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে বেড়েছে ৫০ টাকার বেশি। এ ছাড়া সিলেট, জামালপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৭০ থেকে ২১০ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজ বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।