বাংলাদেশ

কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম

রাজধানীর পাইকারি ও খুচরাবাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে। খুচরাবাজারে ২০ টাকা কমে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। পাইকারি বাজারে দর এখন ২০০ টাকাই রয়েছে।

কার্গো বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণায় থমকে দাঁড়িয়েছে দেশের পেঁয়াজের বাজার। আড়ত, পাইকারি কিংবা খুচরাবাজার- কোথাও ক্রেতা নেই। মজুদ করা পেঁয়াজ যে যার মতো করে বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

শুক্র-শনিবারও ঢাকার বাজারগুলোতে ২৫০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়। তবে রোববার সেই দাম কিছুটা কমে ২৩০ টাকার আশপাশে চলে আসে। আজ সোমবার কারওয়ানবাজারে খুচরাবাজারে ২০ টাকা কমে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়; পাইকারি বাজারে দর এখন ২০০ টাকা রয়েছে বলে জান গেছে।

এ ছাড়া দেশের উত্তর ও মধ্যঞ্চল থেকে নতুন পেঁয়াজ আসা শুরু করলে আরও কমে আসবে দাম। পাবনাসহ বিভিন্ন স্থানে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে।

খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সকালে যারা মোকাম থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করেছেন, তারা ২৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

মিরপুরের শাহ আলী মার্কেটের আড়ৎ মালিকদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ এসেছে। এসব কারণে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। আগামীকাল দাম আরেক ধাপে কমে যাবে।

কারওয়ানবাজারে পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা আলাউদ্দিন জানান, মানিকগঞ্জে তার গ্রামের বাড়ি। সেখানেই তিনি কিছু দিন ধরে নতুন পেঁয়াজের আবাদ করছেন। কিছু আগাম মৌসুমের মুড়িকাটা পেঁয়াজ মানিকগঞ্জের হাটে উঠতে শুরু করেছে। ফলে পুরনো পেঁয়াজের দামও কিছুটা কমেছে।

এর সুফল খুচরা দোকানেও পড়বে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে ঘোষণা আসার প্রভাব পড়তে শুরু করছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে, ক্রেতাদের ভোগ প্রবণতা কমে আসা।

গত সেপ্টেম্বরে ভারত প্রথমে পেঁয়াজের রফতানিমূল্য বৃদ্ধি এবং পরে রফতানি বন্ধ করার পর ধাপে ধাপে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ আগে কেজি ৩০ টাকা দরে আশপাশে বিক্রি হয়েছে, তা ভারতের রফতানিমূল্য বৃদ্ধির ঘোষণায় ৬০-৭০ টাকায় উঠে যায়। এর পর সেপ্টেম্বরের শেষে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১০০ হয়।

পুরো অক্টোবরজুড়ে সরকারের নানামুখী তৎপরতার মধ্যেও পেঁয়াজের দাম ক্রমশ বাড়ে। নভেম্বরে সেই দাম আড়াইশয় ওঠে।