পয়লা বৈশাখে আদিবাসী এক ছাত্রীকে যৌন
নির্যাতনের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগরবিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচনেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করাহয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিপীড়নেরএ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী আজ বৃহস্পতিবারদুপুরে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগদিয়েছেন।এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের ওই পাঁচ নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারকরা হয়েছে। আজ রাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরশাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেনবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।এদিকে বাংলা বর্ষবরণের দিন ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারীকেযৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আজ রুল দিয়েছেনহাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।শিক্ষার্থী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরসঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলা বর্ষবরণেরদিনে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অনুষ্ঠানশেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিভাগেরএক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে প্রীতিলতা হলেফিরছিলেন ওই বিভাগের প্রথম বর্ষের একআদিবাসী ছাত্রী। ক্যাম্পাসের পরিবহনচত্বর সংলগ্ন চৌরঙ্গীতে আসার পর দুজনতাঁদের দাঁড় করিয়ে কথা বলেন। পাশেই আরওতিনজন উপস্থিত ছিলেন। ওই পাঁচজন হলেনজার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজবিভাগের শিক্ষার্থী নিশাত ইমতিয়াজবিজয়, নৃবিজ্ঞান বিভাগের আবদুর রহমানইফতি ও নুরুল কবির, রসায়ন বিভাগের নাফিজইমতিয়াজ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের রাকীবহাসান।নিশাত ইমতিয়াজ বিজয় বিশ্ববিদ্যালয়েরশহীদ সালাম-বরকত হল শাখা ছাত্রলীগেরপ্রচার সম্পাদক ও বাকিরা ছাত্রলীগেরকর্মী। এঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদসালাম-বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।কথা বলার একপর্যায়ে তাঁদের কেউ একজন ওইছাত্রীর ব্যাগ ছিনিয়ে পাশের ঝোপে ঢুকেপড়েন। তখন তাঁরা দুজনও ঝোপের ভেতর ঢুকেপড়েন। ঝোপের মধ্যেই ওই পাঁচজনের সঙ্গে ওইছাত্রীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ নিয়েছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের দুজনকেমারধর এবং গালিগালাজ করেন। ছাত্রলীগেরকর্মী নুরুল কবির ছাত্রীর ব্যাগ থেকে ৫০০টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন। নিশাতইমতিয়াজ ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ করে‘অশ্লীল’¯মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁরা ওইছাত্রীর হাত ধরে জোর করে বসানোর চেষ্টাকরেন। এ পর্যায়ে রাকীব হাসান ছাত্রীরশাড়ি ধরে টান দিলে তিনি চিৎকার দেন।চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ জড়ো হলেছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান।ওই ছাত্রী তাঁর হলের জ্যেষ্ঠ ছাত্রীদের এঘটনা জানান। পরদিন গতকাল বুধবার দিনভরছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সঙ্গেসমঝোতার চেষ্টা করেন। ছাত্রীরা রাজি নাহওয়ায় বুধবার রাত নয়টার দিকেছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রীতিলতা হলেরজ্যেষ্ঠ কয়েকজন ছাত্রী এবং কয়েকজনআদিবাসী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনা করেন।খবর পেয়ে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা হলেরসামনে এলে আলোচনা অসমাপ্ত রেখেই ছিনিয়েনেওয়া মোবাইলটি এক ছাত্রীর হাতে দিয়েছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চলে যান।এরপর আজ বৃহস্পতিবার হলের জ্যেষ্ঠছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে প্রক্টরতপন কুমার সাহার কাছে এবং পরে উপাচার্যফারজানা ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ জমাদেন ওই ছাত্রী। হলের ছাত্রীরা অভিযোগকরেন, লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার সময়সেখানে প্রক্টরিয়াল বডির কোনো নারীসদস্য উপস্থিত ছিলেন না। এ ছাড়া প্রক্টরঘটনাটির ‘গুরুত্ব’ দেননি বলেও উপাচার্যেরকাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।এ দিকে এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের ওই পাঁচনেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবেবহিষ্কার করা হয়েছে বলে আজবিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওসাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নিশাত ইমতিয়াজসহছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করাহলেও তাঁরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণসম্পাদক রাজিব আহমেদ বলেন,‘লাঞ্ছিত ছাত্রীর ভাই হিসেবে অভিযুক্তদেরশাসন করেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদেরবিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে আমরা প্রশাসনকেও ব্যবস্থা নিতেঅনুরোধ করেছি।’প্রক্টর ঘটনাটির ‘গুরুত্ব’ দেননি-এ অভিযোগেব্যাপারে জানতে চাইলে প্রক্টর তপন কুমারসাহা বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগহয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়া ওদায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ বানোয়াট।উপাচার্য ফারজানা ইসলাম বলেন, অভিযোগপাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা যৌননিপীড়নবিরোধী সেলের কাছে হস্তান্তর করাহয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রক্টর ঘটনাটিরগুরুত্ব দেননি-এ বিষয়ে তিনি বলেন,প্রক্টর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলকে এ বিষয়েজানিয়েছেন।ছাত্রলীগের কর্মীদের বিচারের দাবিতেবিক্ষোভএ ঘটনায় আজ রাত আটটার দিকে শিক্ষার্থীরাবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক ফটক থেকেএকটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটিক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পরিবহন চত্বরেগিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক সমাবেশেশিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।
নির্যাতনের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগরবিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচনেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করাহয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিপীড়নেরএ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী আজ বৃহস্পতিবারদুপুরে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগদিয়েছেন।এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের ওই পাঁচ নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারকরা হয়েছে। আজ রাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরশাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেনবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।এদিকে বাংলা বর্ষবরণের দিন ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন নারীকেযৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায়স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আজ রুল দিয়েছেনহাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।শিক্ষার্থী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরসঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলা বর্ষবরণেরদিনে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অনুষ্ঠানশেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিভাগেরএক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে প্রীতিলতা হলেফিরছিলেন ওই বিভাগের প্রথম বর্ষের একআদিবাসী ছাত্রী। ক্যাম্পাসের পরিবহনচত্বর সংলগ্ন চৌরঙ্গীতে আসার পর দুজনতাঁদের দাঁড় করিয়ে কথা বলেন। পাশেই আরওতিনজন উপস্থিত ছিলেন। ওই পাঁচজন হলেনজার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজবিভাগের শিক্ষার্থী নিশাত ইমতিয়াজবিজয়, নৃবিজ্ঞান বিভাগের আবদুর রহমানইফতি ও নুরুল কবির, রসায়ন বিভাগের নাফিজইমতিয়াজ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের রাকীবহাসান।নিশাত ইমতিয়াজ বিজয় বিশ্ববিদ্যালয়েরশহীদ সালাম-বরকত হল শাখা ছাত্রলীগেরপ্রচার সম্পাদক ও বাকিরা ছাত্রলীগেরকর্মী। এঁরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদসালাম-বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।কথা বলার একপর্যায়ে তাঁদের কেউ একজন ওইছাত্রীর ব্যাগ ছিনিয়ে পাশের ঝোপে ঢুকেপড়েন। তখন তাঁরা দুজনও ঝোপের ভেতর ঢুকেপড়েন। ঝোপের মধ্যেই ওই পাঁচজনের সঙ্গে ওইছাত্রীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ নিয়েছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের দুজনকেমারধর এবং গালিগালাজ করেন। ছাত্রলীগেরকর্মী নুরুল কবির ছাত্রীর ব্যাগ থেকে ৫০০টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন। নিশাতইমতিয়াজ ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ করে‘অশ্লীল’¯মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁরা ওইছাত্রীর হাত ধরে জোর করে বসানোর চেষ্টাকরেন। এ পর্যায়ে রাকীব হাসান ছাত্রীরশাড়ি ধরে টান দিলে তিনি চিৎকার দেন।চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ জড়ো হলেছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান।ওই ছাত্রী তাঁর হলের জ্যেষ্ঠ ছাত্রীদের এঘটনা জানান। পরদিন গতকাল বুধবার দিনভরছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সঙ্গেসমঝোতার চেষ্টা করেন। ছাত্রীরা রাজি নাহওয়ায় বুধবার রাত নয়টার দিকেছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রীতিলতা হলেরজ্যেষ্ঠ কয়েকজন ছাত্রী এবং কয়েকজনআদিবাসী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনা করেন।খবর পেয়ে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা হলেরসামনে এলে আলোচনা অসমাপ্ত রেখেই ছিনিয়েনেওয়া মোবাইলটি এক ছাত্রীর হাতে দিয়েছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চলে যান।এরপর আজ বৃহস্পতিবার হলের জ্যেষ্ঠছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে প্রক্টরতপন কুমার সাহার কাছে এবং পরে উপাচার্যফারজানা ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ জমাদেন ওই ছাত্রী। হলের ছাত্রীরা অভিযোগকরেন, লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার সময়সেখানে প্রক্টরিয়াল বডির কোনো নারীসদস্য উপস্থিত ছিলেন না। এ ছাড়া প্রক্টরঘটনাটির ‘গুরুত্ব’ দেননি বলেও উপাচার্যেরকাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।এ দিকে এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের ওই পাঁচনেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবেবহিষ্কার করা হয়েছে বলে আজবিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওসাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নিশাত ইমতিয়াজসহছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করাহলেও তাঁরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণসম্পাদক রাজিব আহমেদ বলেন,‘লাঞ্ছিত ছাত্রীর ভাই হিসেবে অভিযুক্তদেরশাসন করেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদেরবিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে আমরা প্রশাসনকেও ব্যবস্থা নিতেঅনুরোধ করেছি।’প্রক্টর ঘটনাটির ‘গুরুত্ব’ দেননি-এ অভিযোগেব্যাপারে জানতে চাইলে প্রক্টর তপন কুমারসাহা বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগহয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়া ওদায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ বানোয়াট।উপাচার্য ফারজানা ইসলাম বলেন, অভিযোগপাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা যৌননিপীড়নবিরোধী সেলের কাছে হস্তান্তর করাহয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রক্টর ঘটনাটিরগুরুত্ব দেননি-এ বিষয়ে তিনি বলেন,প্রক্টর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলকে এ বিষয়েজানিয়েছেন।ছাত্রলীগের কর্মীদের বিচারের দাবিতেবিক্ষোভএ ঘটনায় আজ রাত আটটার দিকে শিক্ষার্থীরাবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক ফটক থেকেএকটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটিক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পরিবহন চত্বরেগিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক সমাবেশেশিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।