বাংলাদেশ

নেপাল থেকে ফিরেছে সেনাবাহিনী চিকিৎসক দল

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় তিন হাজার নেপালিকে চিকিৎসা দিয়ে ফিরেছে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা দল।

শনিবার বিকালে বিমান বাহিনীর সি-১৩০ বি পরিবহন বিমানটি চিকিৎসকসহ ১৯ জনের একটি দল

নিয়ে বিমান বাহিনীর বঙ্গবন্ধু বিমান ঘাটিতে পৌঁছায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ২৬ এপ্রিল ৬টি চিকিৎসক দল নেপালে পৌঁছায়। কাঠমান্ডু

ত্রিভূবন বিমানবন্দর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ললিতপুর জেলায় চিকিৎসা দলটি ক্যাম্প স্থাপন

করেছিল।

শনিবার চিকিৎসক দল ফেরার পর বঙ্গবন্ধু বিমান ঘাঁটিতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক

(অপস অ্যান্ড প্ল্যানিং) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এজাজুল বার চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “১৫ দিনের

মতো আমাদের চিকিৎসা দল বিভিন্ন গ্রামে প্রায় তিন হাজার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছে।

এই সময়ে ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, গরম কাপড়, তাঁবু, কম্বলসহ মোট ৫৪ টন ত্রাণ সামগ্রী

বিতরণ করা হয়েছে।”

আশেপাশের এলাকায় বাংলাদেশের চিকিৎসা দল স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালায় বলে জানান

তিনি।

বাংলাদেশের চিকিৎসা দল ফেরত আসার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এজাজ বলেন, “আমাদের

কাজ আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। অন্যান্য দেশ থেকেও চিকিৎসা দল পৌঁছেছে। আমদের

সরকার নির্দেশ দিলে আমরা পুনরায় কার্যক্রম চালাব।”

গত ২৫ এপ্রিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নেপালে নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

বিধ্বস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি।

ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনও জীবিত মানুষ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে চিকিৎসক

দলের প্রধান কর্নেল  মো. ইউনুছুর রহমান বলেন, “আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এখন আর জীবিত

কারও থাকার সম্ভাবনা নেই। প্রত্যন্ত এলাকায় হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়েছে।

মনে হয় না এখন কোনো জীবনের অস্তিত্ব রয়েছে।”

ভূমিকম্পের পর বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজ বহরের মাধ্যমে ৫টি ফ্লাইট নেপাল যায়। আটকে পড়া

৬০ জন বাংলাদেশিকেও এসব ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা হয়।