জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে স্পিকারের চেয়ারের পেছনের দেয়ালে দৃশ্যমান স্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী এক মাসের মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে তাকে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।
বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের এ আদেশের পরপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথপোকথনে সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, আদালতের আদেশের কপি হাতে পেলেই সংসদের অধিবেশন কক্ষে জাতির জনকের ছবি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।
মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়েম মুরাদ। এর আগে গত ১২ আগস্ট জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে রিটকারী সুবীর নন্দীর করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের প্রতিটি আদালত কক্ষে বা এজলাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে ওই আদেশে অনুযায়ী সব আদালতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জুলাই সুবীর নন্দী সংসদ কর্তৃপক্ষকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংরক্ষণে আইনি নোটিশ দেন। কিন্তু জবাব না পেয়ে ১২ আগস্ট তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
আইনি নোটিশ ও রিট আবেদনে বলা হয়, জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষ স্পিকার এবং সংসদ সদস্যদের আইন প্রণয়ন অফিস। রাষ্ট্র ও সরকারের অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান। জাতীয় সংসদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি প্রদর্শন ও সংরক্ষণ সাংবিধানিক দায়িত্ব। ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইন সভায় জাতির পিতা কিংবা জাতীয় বীরদের প্রতিকৃতি অথবা ভাস্কর্য রয়েছে।
সংসদ সচিবের বক্তব্য : এতদিন অধিবেশন কক্ষে কেন জাতির পিতার ছবি প্রদর্শন করা হয়নি- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সংসদ সচিব জাফর আহমেদ খান জানান, সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের কক্ষসহ সকল কক্ষেই জাতির পিতার ছবি টাঙানো রয়েছে। অধিবেশন কক্ষে এতদিন কেন টানানো হয়নি সেটা তিনি বলতে পারছেন না। তিনি বলেন, বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে, এমন নয়। আদালতের রায় অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে।
সংসদ সচিব বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সব সময় সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। জাতির পিতার জন্মদিন, জাতীয় শোক দিবসসহ তার স্মরণে সারা বছর বিভিন্ন কর্মসূচি সংসদ থেকে পালন করা হয়। এতদিন অধিবেশন কক্ষে ছবি না থাকলেও তিনি সবার অন্তরের অন্তঃস্থলে রয়েছেন। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এই রায়ের ফলে ছবি টানানো বাধ্যবাধ্যকতার মধ্যে চলে এলো।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এন
বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের এ আদেশের পরপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথপোকথনে সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বলেন, আদালতের আদেশের কপি হাতে পেলেই সংসদের অধিবেশন কক্ষে জাতির জনকের ছবি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।
মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়েম মুরাদ। এর আগে গত ১২ আগস্ট জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে রিটকারী সুবীর নন্দীর করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের প্রতিটি আদালত কক্ষে বা এজলাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে ওই আদেশে অনুযায়ী সব আদালতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জুলাই সুবীর নন্দী সংসদ কর্তৃপক্ষকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংরক্ষণে আইনি নোটিশ দেন। কিন্তু জবাব না পেয়ে ১২ আগস্ট তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
আইনি নোটিশ ও রিট আবেদনে বলা হয়, জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষ স্পিকার এবং সংসদ সদস্যদের আইন প্রণয়ন অফিস। রাষ্ট্র ও সরকারের অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান। জাতীয় সংসদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি প্রদর্শন ও সংরক্ষণ সাংবিধানিক দায়িত্ব। ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইন সভায় জাতির পিতা কিংবা জাতীয় বীরদের প্রতিকৃতি অথবা ভাস্কর্য রয়েছে।
সংসদ সচিবের বক্তব্য : এতদিন অধিবেশন কক্ষে কেন জাতির পিতার ছবি প্রদর্শন করা হয়নি- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সংসদ সচিব জাফর আহমেদ খান জানান, সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের কক্ষসহ সকল কক্ষেই জাতির পিতার ছবি টাঙানো রয়েছে। অধিবেশন কক্ষে এতদিন কেন টানানো হয়নি সেটা তিনি বলতে পারছেন না। তিনি বলেন, বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে, এমন নয়। আদালতের রায় অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে।
সংসদ সচিব বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সব সময় সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। জাতির পিতার জন্মদিন, জাতীয় শোক দিবসসহ তার স্মরণে সারা বছর বিভিন্ন কর্মসূচি সংসদ থেকে পালন করা হয়। এতদিন অধিবেশন কক্ষে ছবি না থাকলেও তিনি সবার অন্তরের অন্তঃস্থলে রয়েছেন। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এই রায়ের ফলে ছবি টানানো বাধ্যবাধ্যকতার মধ্যে চলে এলো।
এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এন