বাংলাদেশ

সাগরে ভাসমানদের উদ্ধারে কী ব্যবস্থা, জানতে চেয়েছে আদালত

স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে এ বিষয়ে জানাতে বলা

হয়েছে।

ন্যাশনাল ফোরাম ফর প্রোটেকশন ফর হিউম্যান রাইটস নামের একটি সংগঠনের করা রিট

আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক

আকন্দের বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।

সেইসঙ্গে মানবপাচারের শিকার হয়ে সাগরে ভাসমান নাগরিকদের উদ্ধারে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন

‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে আদালত।

২০১২ সালের মানবপাচার প্রতিরোধ আইন অনুয়ায়ী পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন

নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম জানান, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও আইন সচিব, পুলিশ মহা

পরিদর্শক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ওসিকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের

জবাব দিতে বলেছে আদালত।

পাচারের শিকার ভাসমানদের উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত ২৫ মে ন্যাশনাল

ফোরাম ফর প্রোটেকশন ফর হিউম্যান রাইটস এই রিট আবেদন করে।

এরপর বুধ ও রোববার দুই দিন শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করল। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি

জেনারেল আমাতুল করীম শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।

মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের জঙ্গলে গতমাসে মানবপাচারকারীদের কয়েকটি আস্তানা ও

কবরের সন্ধান মেলার পর বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তোলপাড় চলছে।

থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর হওয়ায় পাচারকারীদের

ট্রলার বা নৌকা তীরে ভিড়তে পারছে না। খাদ্য সঙ্কটে পড়ে নৌকায় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে অনেকের

মারা যাওয়ার খবরও আসছে।

গত এক মাসে এই তিন দেশ এবং মিয়ানমারে চার হাজারের বেশি মানুষকে সাগর থেকে উদ্ধার

করা হয়েছে, যারা রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য।

এসব দেশে আটক বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর

সহযোগিতায় ইতোমধ্যে তালিকা তৈরিরও কাজ শুরু হয়েছে।

মিয়ানমারে গত কিছুদিনে উদ্ধার প্রায় এক হাজার মানুষের প্রায় সবাই বাংলাদেশি বলে দেশটির

সরকার দাবি করলেও তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি বলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে

জানানো হয়েছে।