বাংলাদেশ

এমসি ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ : আদালতে ৩ ছাত্রলীগ কর্মীর জবানবন্দি

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এই মামলার আসামি অর্জুন লস্কর।

শুক্রবার বিকালে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে আসামি অর্জুন ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। অর্জুন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

এদিকে একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এই মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানও। বিকেল সাড়ে ৫টায় সাইফুরের জবানবন্দি শুরু হয়। আদালত সূত্র জানায় এরপর অপর আসামি রবিউল ইসলামেরও জবানবন্দি নেয়া হতে পারে।

এর আগে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার দুপুরে আদালতে আনা হয় গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে। বিকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আসামিদের আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে শাহপরান থানার পুলিশ।

এর আগে ধর্ষণ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও আসামি অর্জুন লস্কর গত সোমবার দুপুরে এবং একইদিন বিকেলে মামলার ৫নং আসামি রবিউল ইসলামকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় শাহপরান থানা পুলিশ। ঐদিন তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক।

এদিকে এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন আসামি রাজন আহমদ, আইন উদ্দিন এবং এজাহারভূক্ত আসামি মুহিবুর রহমান রনি, ৩ নং আসামি তারেক ও ৬ নং আসামি মাহফুজুর রহমান মাছুমও রিমান্ডে রয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক নববধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রাবাসে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছে- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। মামলার অপর তিন আসামি অজ্ঞাত। এজাহারভূক্ত ছয় আসামিসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচদিন করে প্রত্যেককে রিমান্ডে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এজাহার বহির্ভূত অপর এক আসামি এখনো ধরা পড়েনি।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এন