মুরতাদ গাফ্ফার চৌধুরী ও লতিফের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে ইসলামী আন্দোলন গতকাল
রাজধানীতে সমাবেশ মিছিল করেছে। এছাড়া হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্র ও ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন
সংগঠন গতকাল পৃথক পৃথক প্রতিবাদ সভা ও বিবৃতি দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মহা মুরতাদ
গাফ্ফার চৌধুরী ও লতিফের বিচার না হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হবে।ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব
চরমোনাই বলেছেন, স্বঘোষিত মুরতাদ আব্দুল লতিফ আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ও পবিত্র হজ নিয়ে
অশালীন মন্তব্য করে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। তাকে কোনোভাবেই বাঁচানোর চেষ্টা করলে
সরকারেরও আখের রক্ষা হবে না। তিনি বলেন, বামপন্থী লেখক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর ধৃষ্টতাপূর্ণ
বক্তব্যের কারণে গাফ্ফার মুরতাদ হয়ে গেছে। তাকেও দেশে ফিরিয়ে এনে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি দিতে হবে। সরকার ইসলাম, আল্লাহ, রাসূল (সা.)-এর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচার
চালাচ্ছে। পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, ধর্মদ্রোহী ও মুরতাদদের শাস্তির আইন থাকলে নতুন
নতুন নাস্তিক-মুরতাদদের আবির্ভাব হতো না।গতকাল রোববার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম
উত্তর গেইট থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে স্বঘোষিত মুরতাদ
লতিফ, বামপন্থী লেখক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত
বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা
এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের
পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনূছ আহমাদ, নগর
সহ-সভাপতি আলহাজ আলতাফ হোসেন।মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, গাফ্ফার ও লতিফের
শাস্তির দাবিতে তৌহিদী জনতা আজ ঐক্যবদ্ধ। ধর্মদ্রোহী ও মুরতাদদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাস
না হওয়া পর্যন্ত এদেশের মুসলমানরা ঘরে ফিরে যাবে না, আর সরকারও এদেশের মাটিতে টিকে
থাকতে পারবে না। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয়
বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের বৃহত্তর ইসলামী জনতার প্রাণের দাবি ইসলামের বিরুদ্ধে
কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাস করতেই হবে। হেফাজতে ইসলামআল্লাহর ৯৯ নাম নিয়ে
কটাক্ষ করায় আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে। হেফাজতে ইসলাম
বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা
আজিজুল হক ইসলামাবাদী একথা বলেন। বিবৃতিতে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, ৩ জুলাই নিউইয়র্ক
বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক অনুষ্ঠানে প্রবাসী বিতর্কিত লেখক ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবী আবদুল
গাফ্ফার চৌধুরী আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম ও কয়েকজন সম্মানিত সাহাবীকে নিয়ে যে তামাশা ও
জঘন্য উক্তি করেছেন তার ফলে তিনি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে মুরতাদ হয়ে গেছেন। তওবা করে
পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করা ব্যতীত তিনি মুসলমান পরিচয় বহন করতে পারবেন না।তারা বলেন,
আমরা সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, সরাসরি আল্লাহর নাম নিয়ে জঘন্য উক্তি, সাহাবায়ে কেরামের
প্রতি বিভ্রান্তিকর ও অপমানসূচক মন্তব্যকারী মুরতাদ গাফ্ফার চৌধুরীর নাগরিকত্ব বাতিল করা
হোক। তাকে যেন কোনোভাবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দেয়া হয়। কারণ মহান আল্ল¬াহ,
বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.) সাহাবাদের নিয়ে জঘন্য উক্তি করে তিনি ধৃষ্টতার সব সীমা ইতোমধ্যে
অতিক্রম করেছেন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি নবীপ্রেমিক মুসলিম জনতা ধর্মত্যাগী এ মুরতাদের ফাঁসি
চায়। জনদাবি উপেক্ষা করে তাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হলে ব্যাপক গণপ্রতিরোধ শুরু
হবে।সোয়ালিহীন মিশনসোয়ালিহীন হিউম্যানেটোরিয়ান ওয়েলফেয়ার মিশনের পক্ষ থেকে এক
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আল্লাহর ৯৯ নামকে দেবদেবীর নামের সাথে তুলনা করে আবদুল গাফ্ফার
মুরতাদ হয়ে গেছে। তার নাগরিকত্ব বাতিল এবং তাকে দেশে এবং কোন মুসলিম দেশের প্রবেশের
সুযোগ দেয়া যাবেনা। বিবৃতিতে বলা হয়, এই গাফ্ফার জন্মগতভাবেই ধর্মদ্রোহী। তার নাম থেকে
গাফ্ফার চৌধুরী বাদ দিতে হবে। সরকারের উদাসীনতা ও অপশক্তির ইন্দনে মুরতাদরা আস্কারা
পাচ্ছে। বিশেষ নীল নকশা অনুযায়ী দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই এসব করানো
হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা নাস্তিক মুরতাদদের বিচার না হওয়ায় তারা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে সাহস
পেয়ে এবার গাফ্ফার চৌধুরী ময়দানে নেমেছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল
মোমিন- গাফ্ফার চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে তাকে আরো উৎসাহিত করেছে। লতিফ
ও গাফ্ফার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সরকারের ভয়াবহ পরিণতি হবে।হেফাজতে ইসলাম ঢাকা
মহানগরইসলামের মৌলিক কতিপয় বিষয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও মনগড়া বেয়াদবীমূলক উক্তি করায়
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী নামক তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, আল্লাহ ও রাসূল সা. এর দুশমন এখন থেকে
স্বঘোষিত মুরতাদ। শরয়ী বিধান অনুযায়ী তাকে তওবার জন্য ৩ দিনের সময় দেয়া। এই সময়ের
মধ্যে তওবা না করলে তাকে মৃত্যুদ- দেওয়া এবং তা কার্যকর করা উচিত। আমরা বারবার বলে
আসছি, খোদাদ্রোহী ও ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন প্রণয়ন করে তা কার্যকর না
করায় মুরতাদরা বিভিন্নভাবে আশ্রয় প্রশ্রয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। আর একেক সময় একেক চেহারায়
ইসলাম আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর বিরোধিতায় আদাজল খেয়ে মেতে উঠছে। আমরা পরিস্কার
ভাষায় বলে দিতে চাই, বর্তমান সরকারের চত্রছায়ায় ব্যাঙ্গের ছাতার মত জেগে উঠা নাস্তিক
মুরতাদদের আইন করে নিয়ন্ত্রণ করুন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির,
ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর
অস্থায়ী কার্যালয় জামিয়া মাদানিয়া বারিধারায় তাৎক্ষণিক এক জরুরি মিটিংয়ে উপরোক্ত প্রতিক্রিয়া
ব্যক্ত করেন। নেতৃবৃন্দ কুখ্যাত আব্দুর গাফ্ফার চৌধুরীর অবিলম্বে নাগরিকত্ব বাতিল এবং
মুসলমানদের এই দেশে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণার জোর দাবি জানান। উক্ত মিটিং-এ আরো যারা
উপস্থিত ছিলেন, মাও. উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাও. আব্দুর রব ইউসূফী, মাও. মোস্তফা আযাদ, ড.
আহমদ আব্দুল কাদের, মাও. জোনায়েদ আল-হাবীব, মাও. ফজলুল করীম কাসেমী, মাও. আহমদ
আলী কাসেমী, মাও. নাজমুল হাছান, মাও. বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাও. তাফাজ্জল হক
আজীজ।জমিয়ত নেতৃবৃন্দজমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সভাপতি শায়েখ আব্দুল
মোমিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ও মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস
গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত একক বক্তৃতা
অনুষ্ঠানে আব্দুল গাফফার চৌধুরী কর্তৃক মহান আল্লাহর পবিত্র নিরানব্বই নাম এবং বিভিন্ন ইসলামী
বিধিবিধান সম্পর্কে জঘন্য কটুক্তি ও কুফরীপূর্ণ মন্তব্যের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে
বলেছেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ইসলাম বিদ্বেষী অপশক্তির ইন্ধনে তারা দেশে একটা চরম
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যধন্য ব্যক্তিবর্গের
একমাত্র কাজই হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করা। কিন্তু ইতোপূর্বে তারা যে দুঃসাহস
করেনি, নিউইয়র্কে আল্লাহর নাম এবং রাসূল শব্দের অপব্যাখ্যায় জঘন্য মন্তব্যের মাধ্যমে আব্দুল
গাফফার চৌধুরী তাদের সকলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তারা চাইলে যেকোনো ধর্ম পালন করতে
পারেন। কিন্তু মুসলিম পরিচয়ে ইসলামকে কটাক্ষ করে তারা মুরতাদের খাতায় নাম লেখানোর
পাশাপাশি অন্যকে বিভ্রান্ত করা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উস্কানি দিচ্ছে।জমিয়ত নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে
গাফফার চৌধুরীর নাগরিকত্ব বাতিল, তার বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ধর্ম
অবমাননাকারীদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়নে সরকারের প্রতি জোর দাবি
জানিয়ে বলেন, সরকার ইসলামপ্রেমী তৌহিদি জনতার ঈমান পরীক্ষা করতে চাইলে ভয়াবহ
পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে।বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনবাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের
প্রধান, আমিরে খেলাফত আলহাজ শায়েখ আব্দুল মালেক চৌধুরী, মহাসচিব মাওলানা ফিরোজ
আশরাফি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাফফার চৌধুরী মহান আল্লাহর পবিত্র
নামসমূহ, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.), ছাহাবী হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও হযরত আবু
হোরায়রা (রা.) কে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করে যে স্পর্ধা দেখিয়েছে। এতে করে গাফফার চৌধুরী
আবু জাহেলের ভূমিকায় মাঠে নেমেছেন। অতীতের সকল মুরতাদদের রেকর্ড ভঙ্গ করে নতুন রেকর্ড
সৃষ্টির মাধ্যমে ইতিহাসের কালো পাতায় তসলিমার ডিম ফোটা বাচ্চাদের তালিকায় যোগ হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন ইহুদীদের নব্য এজেন্ট গাফফার চৌধুরী ও লতিফ সিদ্দিকীর স্থান এদেশে হবেনা।
রাজধানীতে সমাবেশ মিছিল করেছে। এছাড়া হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্র ও ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন
সংগঠন গতকাল পৃথক পৃথক প্রতিবাদ সভা ও বিবৃতি দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মহা মুরতাদ
গাফ্ফার চৌধুরী ও লতিফের বিচার না হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হবে।ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব
চরমোনাই বলেছেন, স্বঘোষিত মুরতাদ আব্দুল লতিফ আমাদের প্রিয় নবী (সা.) ও পবিত্র হজ নিয়ে
অশালীন মন্তব্য করে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। তাকে কোনোভাবেই বাঁচানোর চেষ্টা করলে
সরকারেরও আখের রক্ষা হবে না। তিনি বলেন, বামপন্থী লেখক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর ধৃষ্টতাপূর্ণ
বক্তব্যের কারণে গাফ্ফার মুরতাদ হয়ে গেছে। তাকেও দেশে ফিরিয়ে এনে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি দিতে হবে। সরকার ইসলাম, আল্লাহ, রাসূল (সা.)-এর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচার
চালাচ্ছে। পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, ধর্মদ্রোহী ও মুরতাদদের শাস্তির আইন থাকলে নতুন
নতুন নাস্তিক-মুরতাদদের আবির্ভাব হতো না।গতকাল রোববার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম
উত্তর গেইট থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে স্বঘোষিত মুরতাদ
লতিফ, বামপন্থী লেখক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত
বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা
এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের
পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনূছ আহমাদ, নগর
সহ-সভাপতি আলহাজ আলতাফ হোসেন।মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, গাফ্ফার ও লতিফের
শাস্তির দাবিতে তৌহিদী জনতা আজ ঐক্যবদ্ধ। ধর্মদ্রোহী ও মুরতাদদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাস
না হওয়া পর্যন্ত এদেশের মুসলমানরা ঘরে ফিরে যাবে না, আর সরকারও এদেশের মাটিতে টিকে
থাকতে পারবে না। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয়
বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের বৃহত্তর ইসলামী জনতার প্রাণের দাবি ইসলামের বিরুদ্ধে
কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাস করতেই হবে। হেফাজতে ইসলামআল্লাহর ৯৯ নাম নিয়ে
কটাক্ষ করায় আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে। হেফাজতে ইসলাম
বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা
আজিজুল হক ইসলামাবাদী একথা বলেন। বিবৃতিতে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, ৩ জুলাই নিউইয়র্ক
বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক অনুষ্ঠানে প্রবাসী বিতর্কিত লেখক ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবী আবদুল
গাফ্ফার চৌধুরী আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম ও কয়েকজন সম্মানিত সাহাবীকে নিয়ে যে তামাশা ও
জঘন্য উক্তি করেছেন তার ফলে তিনি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে মুরতাদ হয়ে গেছেন। তওবা করে
পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করা ব্যতীত তিনি মুসলমান পরিচয় বহন করতে পারবেন না।তারা বলেন,
আমরা সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, সরাসরি আল্লাহর নাম নিয়ে জঘন্য উক্তি, সাহাবায়ে কেরামের
প্রতি বিভ্রান্তিকর ও অপমানসূচক মন্তব্যকারী মুরতাদ গাফ্ফার চৌধুরীর নাগরিকত্ব বাতিল করা
হোক। তাকে যেন কোনোভাবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দেয়া হয়। কারণ মহান আল্ল¬াহ,
বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.) সাহাবাদের নিয়ে জঘন্য উক্তি করে তিনি ধৃষ্টতার সব সীমা ইতোমধ্যে
অতিক্রম করেছেন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি নবীপ্রেমিক মুসলিম জনতা ধর্মত্যাগী এ মুরতাদের ফাঁসি
চায়। জনদাবি উপেক্ষা করে তাকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হলে ব্যাপক গণপ্রতিরোধ শুরু
হবে।সোয়ালিহীন মিশনসোয়ালিহীন হিউম্যানেটোরিয়ান ওয়েলফেয়ার মিশনের পক্ষ থেকে এক
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আল্লাহর ৯৯ নামকে দেবদেবীর নামের সাথে তুলনা করে আবদুল গাফ্ফার
মুরতাদ হয়ে গেছে। তার নাগরিকত্ব বাতিল এবং তাকে দেশে এবং কোন মুসলিম দেশের প্রবেশের
সুযোগ দেয়া যাবেনা। বিবৃতিতে বলা হয়, এই গাফ্ফার জন্মগতভাবেই ধর্মদ্রোহী। তার নাম থেকে
গাফ্ফার চৌধুরী বাদ দিতে হবে। সরকারের উদাসীনতা ও অপশক্তির ইন্দনে মুরতাদরা আস্কারা
পাচ্ছে। বিশেষ নীল নকশা অনুযায়ী দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই এসব করানো
হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা নাস্তিক মুরতাদদের বিচার না হওয়ায় তারা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে সাহস
পেয়ে এবার গাফ্ফার চৌধুরী ময়দানে নেমেছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল
মোমিন- গাফ্ফার চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে তাকে আরো উৎসাহিত করেছে। লতিফ
ও গাফ্ফার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সরকারের ভয়াবহ পরিণতি হবে।হেফাজতে ইসলাম ঢাকা
মহানগরইসলামের মৌলিক কতিপয় বিষয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও মনগড়া বেয়াদবীমূলক উক্তি করায়
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী নামক তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, আল্লাহ ও রাসূল সা. এর দুশমন এখন থেকে
স্বঘোষিত মুরতাদ। শরয়ী বিধান অনুযায়ী তাকে তওবার জন্য ৩ দিনের সময় দেয়া। এই সময়ের
মধ্যে তওবা না করলে তাকে মৃত্যুদ- দেওয়া এবং তা কার্যকর করা উচিত। আমরা বারবার বলে
আসছি, খোদাদ্রোহী ও ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন প্রণয়ন করে তা কার্যকর না
করায় মুরতাদরা বিভিন্নভাবে আশ্রয় প্রশ্রয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। আর একেক সময় একেক চেহারায়
ইসলাম আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর বিরোধিতায় আদাজল খেয়ে মেতে উঠছে। আমরা পরিস্কার
ভাষায় বলে দিতে চাই, বর্তমান সরকারের চত্রছায়ায় ব্যাঙ্গের ছাতার মত জেগে উঠা নাস্তিক
মুরতাদদের আইন করে নিয়ন্ত্রণ করুন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির,
ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর
অস্থায়ী কার্যালয় জামিয়া মাদানিয়া বারিধারায় তাৎক্ষণিক এক জরুরি মিটিংয়ে উপরোক্ত প্রতিক্রিয়া
ব্যক্ত করেন। নেতৃবৃন্দ কুখ্যাত আব্দুর গাফ্ফার চৌধুরীর অবিলম্বে নাগরিকত্ব বাতিল এবং
মুসলমানদের এই দেশে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণার জোর দাবি জানান। উক্ত মিটিং-এ আরো যারা
উপস্থিত ছিলেন, মাও. উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাও. আব্দুর রব ইউসূফী, মাও. মোস্তফা আযাদ, ড.
আহমদ আব্দুল কাদের, মাও. জোনায়েদ আল-হাবীব, মাও. ফজলুল করীম কাসেমী, মাও. আহমদ
আলী কাসেমী, মাও. নাজমুল হাছান, মাও. বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাও. তাফাজ্জল হক
আজীজ।জমিয়ত নেতৃবৃন্দজমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সভাপতি শায়েখ আব্দুল
মোমিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী ও মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস
গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত একক বক্তৃতা
অনুষ্ঠানে আব্দুল গাফফার চৌধুরী কর্তৃক মহান আল্লাহর পবিত্র নিরানব্বই নাম এবং বিভিন্ন ইসলামী
বিধিবিধান সম্পর্কে জঘন্য কটুক্তি ও কুফরীপূর্ণ মন্তব্যের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে
বলেছেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ইসলাম বিদ্বেষী অপশক্তির ইন্ধনে তারা দেশে একটা চরম
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যধন্য ব্যক্তিবর্গের
একমাত্র কাজই হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করা। কিন্তু ইতোপূর্বে তারা যে দুঃসাহস
করেনি, নিউইয়র্কে আল্লাহর নাম এবং রাসূল শব্দের অপব্যাখ্যায় জঘন্য মন্তব্যের মাধ্যমে আব্দুল
গাফফার চৌধুরী তাদের সকলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তারা চাইলে যেকোনো ধর্ম পালন করতে
পারেন। কিন্তু মুসলিম পরিচয়ে ইসলামকে কটাক্ষ করে তারা মুরতাদের খাতায় নাম লেখানোর
পাশাপাশি অন্যকে বিভ্রান্ত করা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উস্কানি দিচ্ছে।জমিয়ত নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে
গাফফার চৌধুরীর নাগরিকত্ব বাতিল, তার বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ধর্ম
অবমাননাকারীদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়নে সরকারের প্রতি জোর দাবি
জানিয়ে বলেন, সরকার ইসলামপ্রেমী তৌহিদি জনতার ঈমান পরীক্ষা করতে চাইলে ভয়াবহ
পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে।বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনবাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের
প্রধান, আমিরে খেলাফত আলহাজ শায়েখ আব্দুল মালেক চৌধুরী, মহাসচিব মাওলানা ফিরোজ
আশরাফি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাফফার চৌধুরী মহান আল্লাহর পবিত্র
নামসমূহ, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.), ছাহাবী হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও হযরত আবু
হোরায়রা (রা.) কে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করে যে স্পর্ধা দেখিয়েছে। এতে করে গাফফার চৌধুরী
আবু জাহেলের ভূমিকায় মাঠে নেমেছেন। অতীতের সকল মুরতাদদের রেকর্ড ভঙ্গ করে নতুন রেকর্ড
সৃষ্টির মাধ্যমে ইতিহাসের কালো পাতায় তসলিমার ডিম ফোটা বাচ্চাদের তালিকায় যোগ হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন ইহুদীদের নব্য এজেন্ট গাফফার চৌধুরী ও লতিফ সিদ্দিকীর স্থান এদেশে হবেনা।