প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
ক্রমবর্ধমান স্বৈরতান্ত্রিক আচরণে
বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন
ম্রিয়মাণ হয়ে যাচ্ছে বলে যে অভিযোগ
রয়েছে শেখ হাসিনা তা নাকচ করে
দিয়েছেন।পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর
ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের
অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি।
ঢাকায় ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানকে দেয়া
এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের
বেপরোয়া, দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ওয়াজেদ তার সরকারের বিরুদ্ধে
উত্থাপিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিপুল
সংখ্যায় তথাকথিত গুম, বিরোধী নেতাকর্মী
ও ইসলামপন্থীদের গণগ্রেপ্তার এবং
গণমাধ্যম এবং ইন্টারনেট স্বাধীনতার ওপর
নতুন কড়াকড়ি আরোপের মাধ্যমে বিশ্বের
তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশটিকে কার্যত একটি
নিপীড়ক, এক দলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করার
অভিযোগ অস্বীকার করেন। ক্ষমতা কুক্ষিগত
করার অভিযোগ নাকচ করে গার্ডিয়ানকে
দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বলেছেন, জনগণের কল্যাণের জন্যই
কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার
লন্ডনে অবস্থানের মধ্যেই সোমবার এই
সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে গার্ডিয়ান।
খালেদা দাবি করে আসছেন, শেখ হাসিনার
শাসনে বাংলাদেশ এখন ‘গণতন্ত্রহীন’।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ
রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির চেয়ারম্যান আতাউর
রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম,
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
ইফতেখারুজ্জামানের বক্তব্য আসে; তারা
আওয়ামী লীগ সরকারের কার্যক্রমের
সমালোচনা করেন।
আতাউর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে
কর্তৃত্বমূলক শাসন এখন এক ব্যক্তির শাসনের
দিকে যাচ্ছে। এর ফল হিসেবে গণতন্ত্র এখন
খাদের কিনারায়।”
বাংলাদেশ এক ‘অভূতপূর্ব’ পরিস্থিতির মধ্য
দিয়ে যাচ্ছে দাবি করে মাহফুজ আনাম
বলেন, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে
নিঃশেষ করে ফেলেছে। এখন গণমাধ্যমের
সমালোচনায় নেমেছে। বিরুদ্ধ মত সহ্য করতে
পারছে না তারা।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবনতিশীল দাবি
করে তার প্রভাব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
জন্যও সুখকর হবে না বলে মন্তব্য করেন
টিআইবি চেয়ারম্যান।
এসব অভিযোগের উত্তরে ঢাকায় দেওয়া এই
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার
কাজ সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। আমার
রাজনীতি সাধারণ মানুষের জন্য, নিজের
জন্য নয়… জনগণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আছে।”
“জনগণ চায়, তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ
হোক। আমি তাদের সেই চাহিদা পূরণেই কাজ
করছি। খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা,
শিক্ষা ও চাকরির ব্যবস্থা করছি।”
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ
আয়ের দেশে নিতে সরকারের লক্ষ্যের কথা
জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “গণতান্ত্রিক
সব প্রতিষ্ঠান কার্যকর, মানুষও সন্তুষ্ট।
“তাহলে আপনি কী করে আমাকে বলেন যে
আমি শাসন করছি। আমি শাসন করছি না,
জনগণের সেবা করছি।”
ক্রমবর্ধমান স্বৈরতান্ত্রিক আচরণে
বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন
ম্রিয়মাণ হয়ে যাচ্ছে বলে যে অভিযোগ
রয়েছে শেখ হাসিনা তা নাকচ করে
দিয়েছেন।পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর
ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের
অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি।
ঢাকায় ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানকে দেয়া
এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের
বেপরোয়া, দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ওয়াজেদ তার সরকারের বিরুদ্ধে
উত্থাপিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিপুল
সংখ্যায় তথাকথিত গুম, বিরোধী নেতাকর্মী
ও ইসলামপন্থীদের গণগ্রেপ্তার এবং
গণমাধ্যম এবং ইন্টারনেট স্বাধীনতার ওপর
নতুন কড়াকড়ি আরোপের মাধ্যমে বিশ্বের
তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশটিকে কার্যত একটি
নিপীড়ক, এক দলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করার
অভিযোগ অস্বীকার করেন। ক্ষমতা কুক্ষিগত
করার অভিযোগ নাকচ করে গার্ডিয়ানকে
দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বলেছেন, জনগণের কল্যাণের জন্যই
কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার
লন্ডনে অবস্থানের মধ্যেই সোমবার এই
সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে গার্ডিয়ান।
খালেদা দাবি করে আসছেন, শেখ হাসিনার
শাসনে বাংলাদেশ এখন ‘গণতন্ত্রহীন’।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ
রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির চেয়ারম্যান আতাউর
রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম,
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
ইফতেখারুজ্জামানের বক্তব্য আসে; তারা
আওয়ামী লীগ সরকারের কার্যক্রমের
সমালোচনা করেন।
আতাউর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে
কর্তৃত্বমূলক শাসন এখন এক ব্যক্তির শাসনের
দিকে যাচ্ছে। এর ফল হিসেবে গণতন্ত্র এখন
খাদের কিনারায়।”
বাংলাদেশ এক ‘অভূতপূর্ব’ পরিস্থিতির মধ্য
দিয়ে যাচ্ছে দাবি করে মাহফুজ আনাম
বলেন, সরকার বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে
নিঃশেষ করে ফেলেছে। এখন গণমাধ্যমের
সমালোচনায় নেমেছে। বিরুদ্ধ মত সহ্য করতে
পারছে না তারা।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবনতিশীল দাবি
করে তার প্রভাব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
জন্যও সুখকর হবে না বলে মন্তব্য করেন
টিআইবি চেয়ারম্যান।
এসব অভিযোগের উত্তরে ঢাকায় দেওয়া এই
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার
কাজ সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। আমার
রাজনীতি সাধারণ মানুষের জন্য, নিজের
জন্য নয়… জনগণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আছে।”
“জনগণ চায়, তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ
হোক। আমি তাদের সেই চাহিদা পূরণেই কাজ
করছি। খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা,
শিক্ষা ও চাকরির ব্যবস্থা করছি।”
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ
আয়ের দেশে নিতে সরকারের লক্ষ্যের কথা
জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “গণতান্ত্রিক
সব প্রতিষ্ঠান কার্যকর, মানুষও সন্তুষ্ট।
“তাহলে আপনি কী করে আমাকে বলেন যে
আমি শাসন করছি। আমি শাসন করছি না,
জনগণের সেবা করছি।”