বাংলাদেশ

‘আন্তর্জাতিকভাবে এটা স্বীকৃত যে বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে এটা স্বীকৃত যে বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই। আমেরিকা বাংলাদেশকে হাইব্রিড সরকারের দেশ বলেছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার লালসার কারণে দেশ আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমেরিকায় গণতান্ত্রিক একটা কনভেনশন হয়েছে। গণতান্ত্রিক সব দেশকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশকে তারা আমন্ত্রণ জানায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমেরিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, হাইব্রিড শাসন চলছে সেহেতু বাংলাদেশ এখানে যুক্ত না।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী নবীনদল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। এরা দিনের ভোট রাতে চুরি করা, বিনা ভোটের সরকার হওয়ায় জণগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। এজন্যই এই সরকার এক লাফে জ্বালানি তেলের দাম পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি বাড়িয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এমন নজির নেই।

বৃহস্পতিবার মিরপুরের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ সবাই এক হয়ে হামলা করেছে অভিযোগ করেন খন্দকার মোশাররফ।  তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কথা বলতে গেলে পাখির মতো গুলি করে তারা হত্যা করে। জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আন্দোলন এটা বিএনপির কিছু না, এটা জনগণের দাবি। তাদের দাবি তুলে ধরার কারণে এই হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশ সেখানে টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে, গুলি করছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনীতি আজ ধ্বংসের শেষ সীমায়। এটা শুধু আমরা বলছি না। আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এমনকি এই ফ্যাসিবাদ সরকারের একজন মন্ত্রী নিজেও বলছেন যে বাংলাদেশের অর্থনীতি খাদের কিনারায় চলে গেছে। তারাই বলছে এখন এই কথা।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাস্তায় না নেমে এই মহা সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে না। যারা অর্থনীতিকে লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে জনগণের স্বার্থে তাদের পক্ষে অর্থনীতি চালনা করা সম্ভব নয়।