বাংলাদেশ

বিদেশি হত্যার রহস্য উদঘাটনে সহযোগিতায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

ছয় দিনে বাংলাদেশে দুই বিদেশি হত্যার রহস্য উদঘাটনে বাংলাদেশকে সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট। একইসঙ্গে ওই দুই হত্যাকাণ্ডের পর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নামে দায় স্বীকারের সত্যতা যাচাইয়েও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাটিতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত এসব কথা জানান। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও মার্কিন নৌবাহিনীর যৌথ সামরিক মহড়ার ৫ম ও সমাপনী দিনে অংশ নিতে চট্টগ্রামে যান বার্নিকাট। 

গত ২৮ সেপেটম্বর রাজধানীর গুলশানে ইতালীয় নাগরিক তাভেল্লা সিজার হত্যার পর এবং গতকাল রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হত্যার পর আইএস এই দুই হত্যাকাণ্ডের ‘দায় স্বীকার’ করেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে এখনো পর্যন্ত এ দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। আজ রোববার সকালেই এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রামে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ঢাকায় এবং রংপুরে যে দুজন বিদেশি নাগরিককে খুন করা হয়েছে। সেই ঘটনার পর আইএসের নামে দায় স্বীকার করে দেয়া টুইট ও বিবৃতির সত্যতা যাচাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র সব সময় সম্মান করে। আশা করছি এবারো তারা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মার্শা বার্নিকাট বলেন, ‘বিদেশি নাগরিক হত্যার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাংলাদেশে খেলতে না আসার কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি একটি পৃথক ঘটনা। তারা কেন বাংলাদেশে আসেনি সেটি আমাদের বোধগম্য নয়।’

এরআগে গতকাল শনিবার সকালে রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডের পর বিকেলে এই হত্যকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্ত দাবি করে বিবৃতি দিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সব দিক বিবেচনায় নিয়ে অনুসন্ধান চালানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই।’ একই সঙ্গে নিহত কুনিও-এর পরিবার ও তার বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান বার্নিকাট।