বাংলাদেশ

অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিকল্প নেইঃ খালেদা জিয়া

জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে অগণতান্ত্রিক
অপশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোনো
বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে
১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর ছাত্রদল নেতা
নাজির উদ্দিন জেহাদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
দিবসটি উপলক্ষে শহীদ জেহাদের স্মৃতির
প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা
করে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে
এ মন্তব্য করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকারকে উচ্ছেদ করে
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদ
ক্ষমতা দখল করেন। গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার দৃঢ়
প্রত্যয় নিয়েই জেহাদ নিজের জীবন উৎসর্গ
করেছিলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আমরা জিহাদের আরাধ্য
স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে না পারলে তার ত্যাগ
অস্বীকৃত হবে। তাই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে
রক্ষা এবং তাকে বিকশিত করতে আমাদের আরও
সংগ্রাম করতে হবে।
প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের ছাত্রনেতারা শহীদ
জেহাদের লাশ ছুঁয়ে তৎকালীন এরশাদ সরকারকে
হঠানোর শপথ নেন। এই আন্দোলনের
ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন
এরশাদ। তারপর থেকে এ দিনটিকে জেহাদ দিবস
হিসাবে পালন করে আসছে বিএনপি।
বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত
বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, মানুষের
স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে জনগণের
ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্র ও সমাজের সকল
স্তরে অগণতান্ত্রিক অপশক্তির বিরুদ্ধে
আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগের
প্রেরণাকে বুকে লালন করেই দেশী-
বিদেশী অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত, স্বাধীনতা-
সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে
সক্ষম হবো।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর পৃথক বানীতে জেহাদের স্মৃতির প্রতি
শ্রদ্ধা জানান।
শহীদ জেহাদ দিবসে কর্মসূচি
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ও নব্বইয়ের ছাত্র নেতারা
পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে
রয়েছে- শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদ
জেহাদের ২৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে
জেহাদ স্মৃতি স্তম্ভে রাজধানীর দৈনিক বাংলা
মোড়ে বিএনপির পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ।
এছাড়া সকাল ১০ টায় নব্বইয়ের ছাত্রনেতাদের ঢাকা
রিপোর্টারস ইউনিটিতে জেহাদ স্মরণে আলোচনা
সভার আয়োজন করেছে।