রাজধানীর বাড্ডায় র্যাবের সঙ্গে কথিত
বন্দুকযুদ্ধে জহিরুল ইসলাম (৩২) নামের এক
যুবক নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত
দেড়টার দিকে বাড্ডার ১০০ ফুট রাস্তার
কাছে সান ভ্যালি আবাসন প্রকল্প এলাকায়
এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায়
জহিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল
কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে
গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৪টার দিকে
চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, জহির বাড্ডার
তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা,
অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মামলা
রয়েছে। র্যাব আরো দাবি করেছে,
গোলাগুলির ঘটনায় র্যাবেরও দুই সদস্য আহত
হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি
পিস্তল, একটি দেশি পাইপগান, দুই রাউন্ড
তাজা গুলিভর্তি একটি পিস্তলের
ম্যাগাজিন, এক রাউন্ড পিস্তলের খালি
খোসা, একটি চাপাতি এবং একটি মোটর
ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে জহিরের স্বজনরা দাবি করেছে, জহির
প্রাইভেট কারচালক। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো
মামলা নেই।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল
তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘রাত দেড়টার
দিকে বিশেষ টহল ডিউটির সময় গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে,
বাড্ডার ১০০ ফুট রাস্তার কাছে সান ভ্যালি
আবাসন প্রকল্প এলাকায় একদল দুষ্কৃতকারী
অবস্থান করছে। এ সময় টহল দল ঘটনাস্থলে
পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা র্যাবের উপস্থিতি
টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে
র্যাবের দুই সদস্য আহত হন। টহল গাড়িতেও
গুলি লাগে। পরে আত্মরক্ষার্থে র্যাবও
পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে
সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। ঘটনার পর
আহত র্যাব সদস্যদের জরুরি চিকিৎসার জন্য
হাসাপাতালে স্থানান্তর করা হয়।’ তিনি
জানান, পরে একজন ব্যক্তিকে জখম হয়ে
পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশকে খবর
দেওয়া হলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা
মেডিক্যালে পাঠায়।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক বলেন, ‘এলাকাবাসীর
ভাষ্য মতে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, জহির
রামপুরার মাস্টার সোহেল হত্যা মামলাসহ
দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, নারী ও শিশু
নির্যাতন মামলাসহ একাধিক মামলার
আসামি। সে একাধিকবার দুই বা তার বেশি
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল বলে স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়। জহির অস্ত্রধারী
সন্ত্রাসীদের নিয়ে গ্রুপ তৈরি করে বাড্ডা
ও রামপুরা এলাকায় চাঁদাবাজি, হত্যা,
অপহরণসহ ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল।’
বাড্ডা থানার এসআই রুফত হাসান বলেন,
‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক
যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে
দেখা যায়। র্যাবের পক্ষ থেকে আমাদের
জানানো হয়েছে, ওই যুবক সন্ত্রাসী দলের
সদস্য। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক
হাসপাতালে নিলে রাত পৌনে ৪টার দিকে
চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘জহিরের বাঁ পাঁজরে, পিঠের
ডান পাশে এবং বাঁ ঊরু ও তলপেটের
মাঝামাঝি গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া
বুকের ডান পাশেও গুলির চিহ্ন পাওয়া
গেছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত
জহির স্থানীয় সন্ত্রাসী জয়নাল গ্রুপের
সদস্য। সম্প্রতি জয়নাল, আলমগীরসহ কয়েকটি
গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চরমে
পৌঁছেছে। এর জের ধরে কয়েকটি
হত্যাকাণ্ডও ঘটেছে।
গতকাল দুপুরে ঢামেক মর্গে গিয়ে লাশ
শনাক্ত করেন নিহতের বোন নিলুফা
ইয়াসমিন ও তাঁর শাশুড়ি রেহানা বেগম।
নিলুফা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান,
জহিরুল ইসলাম একজন প্রাইভেট কারচালক।
বৃহস্পতিবার ভোরে কে বা কারা তাঁকে
মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। এর পর থেকে
আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। গতকাল
সকালে টিভিতে খবর দেখে মর্গে এসে
তাঁরা লাশ শনাক্ত করেন। তিনি দাবি করেন,
তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
জানা গেছে, জহিরের বাবার নাম মালেক
আলী। জহির আনন্দনগরের একটি মেসে
থাকতেন। দুই মাস আগে বিয়ে করেন তিনি।
বন্দুকযুদ্ধে জহিরুল ইসলাম (৩২) নামের এক
যুবক নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত
দেড়টার দিকে বাড্ডার ১০০ ফুট রাস্তার
কাছে সান ভ্যালি আবাসন প্রকল্প এলাকায়
এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায়
জহিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল
কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে
গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৪টার দিকে
চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, জহির বাড্ডার
তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা,
অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মামলা
রয়েছে। র্যাব আরো দাবি করেছে,
গোলাগুলির ঘটনায় র্যাবেরও দুই সদস্য আহত
হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি
পিস্তল, একটি দেশি পাইপগান, দুই রাউন্ড
তাজা গুলিভর্তি একটি পিস্তলের
ম্যাগাজিন, এক রাউন্ড পিস্তলের খালি
খোসা, একটি চাপাতি এবং একটি মোটর
ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে জহিরের স্বজনরা দাবি করেছে, জহির
প্রাইভেট কারচালক। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো
মামলা নেই।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল
তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘রাত দেড়টার
দিকে বিশেষ টহল ডিউটির সময় গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে,
বাড্ডার ১০০ ফুট রাস্তার কাছে সান ভ্যালি
আবাসন প্রকল্প এলাকায় একদল দুষ্কৃতকারী
অবস্থান করছে। এ সময় টহল দল ঘটনাস্থলে
পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা র্যাবের উপস্থিতি
টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে
র্যাবের দুই সদস্য আহত হন। টহল গাড়িতেও
গুলি লাগে। পরে আত্মরক্ষার্থে র্যাবও
পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে
সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। ঘটনার পর
আহত র্যাব সদস্যদের জরুরি চিকিৎসার জন্য
হাসাপাতালে স্থানান্তর করা হয়।’ তিনি
জানান, পরে একজন ব্যক্তিকে জখম হয়ে
পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশকে খবর
দেওয়া হলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা
মেডিক্যালে পাঠায়।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক বলেন, ‘এলাকাবাসীর
ভাষ্য মতে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, জহির
রামপুরার মাস্টার সোহেল হত্যা মামলাসহ
দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, নারী ও শিশু
নির্যাতন মামলাসহ একাধিক মামলার
আসামি। সে একাধিকবার দুই বা তার বেশি
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল বলে স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়। জহির অস্ত্রধারী
সন্ত্রাসীদের নিয়ে গ্রুপ তৈরি করে বাড্ডা
ও রামপুরা এলাকায় চাঁদাবাজি, হত্যা,
অপহরণসহ ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল।’
বাড্ডা থানার এসআই রুফত হাসান বলেন,
‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক
যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে
দেখা যায়। র্যাবের পক্ষ থেকে আমাদের
জানানো হয়েছে, ওই যুবক সন্ত্রাসী দলের
সদস্য। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক
হাসপাতালে নিলে রাত পৌনে ৪টার দিকে
চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘জহিরের বাঁ পাঁজরে, পিঠের
ডান পাশে এবং বাঁ ঊরু ও তলপেটের
মাঝামাঝি গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া
বুকের ডান পাশেও গুলির চিহ্ন পাওয়া
গেছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত
জহির স্থানীয় সন্ত্রাসী জয়নাল গ্রুপের
সদস্য। সম্প্রতি জয়নাল, আলমগীরসহ কয়েকটি
গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চরমে
পৌঁছেছে। এর জের ধরে কয়েকটি
হত্যাকাণ্ডও ঘটেছে।
গতকাল দুপুরে ঢামেক মর্গে গিয়ে লাশ
শনাক্ত করেন নিহতের বোন নিলুফা
ইয়াসমিন ও তাঁর শাশুড়ি রেহানা বেগম।
নিলুফা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান,
জহিরুল ইসলাম একজন প্রাইভেট কারচালক।
বৃহস্পতিবার ভোরে কে বা কারা তাঁকে
মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। এর পর থেকে
আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। গতকাল
সকালে টিভিতে খবর দেখে মর্গে এসে
তাঁরা লাশ শনাক্ত করেন। তিনি দাবি করেন,
তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
জানা গেছে, জহিরের বাবার নাম মালেক
আলী। জহির আনন্দনগরের একটি মেসে
থাকতেন। দুই মাস আগে বিয়ে করেন তিনি।