ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির সব আয়োজন সম্পন্ন
হয়েছে। আগামী নভেম্বর থেকে রপ্তানি শুরু
হবে। ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রতি
এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের মূল্য পাবে ৬১২ টাকা।
ভারতের পর ইতালিতেও রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সেখান থেকে প্রতি এমবিপিএসের মূল্য পাওয়া
যাবে মাত্র ৯ টাকা ৫২ পয়সা। অথচ একই ব্যান্ডউইথ
ব্যবহারের জন্য দেশীয় গ্রাহকদের ৬২৫ টাকা
পরিশোধ করতে হয়। এ নিয়ে গ্রাহক ও স্থানীয়
কম্পানিগুলোর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি
হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ব্যান্ডউইথ বলতে একটি
নেটওয়ার্ক বা মডেম সংযোগের মাধ্যমে
পাঠানো ডাটার পরিমাণ বোঝায়। এটি সাধারণত 'বাইটস
পার সেকেন্ড' বা বিপিএস দিয়ে পরিমাপ করা হয়।
বাংলাদেশে বর্তমানে ২০০ জিবিপিএস ক্ষমতাসম্পন্ন
সাবমেরিন কেব্ল্ রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩০
জিবিপিএস বাংলাদেশ ব্যবহার করে। বাকিটা অব্যবহৃত
আছে। সরকার অব্যবহৃত এই ব্যান্ডউইথ রপ্তানির
সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত জুনে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ
সফরের সময় সে দেশের রাষ্ট্রীয়
মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ভারত সঞ্চার নিগাম
লিমিটেডের সঙ্গে এ ব্যাপারে চুক্তি হয়। সে
অনুযায়ী রপ্তানির জন্য কেব্ল্ কক্সবাজার থেকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া হয়ে আগরতলা জিরো
পয়েন্ট দিয়ে ভারতে যাবে। আপাতত ১০ জিবিপিএস
ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হবে। ভবিষ্যতে তা বেড়ে
৪০ জিবিপিএস হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম
কালের কণ্ঠকে জানান, ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে
বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায়
এত দিন রপ্তানি শুরু করা যায়নি। সেখানে লাইন
স্থাপনের কাজ চলছে। আগামী ১৫ নভেম্বর
থেকে রপ্তানি শুরুর সর্বশেষ লক্ষ্য নির্ধারণ করা
হয়েছে। ইতালিতেও ব্যান্ডউইথ রপ্তানির
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইতালির কম্পানি 'স্পার্কেলস'-
এর কাছে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল্ কম্পানি লিমিটেড
(বিএসসিসিএল)। ওই কম্পানির কাছে ৫৭ জিবিপিএস
ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হবে। এ থেকে আগামী
১৫ বছরে বাংলাদেশের আয় হবে ৯ দশমিক ৭৭
কোটি টাকা। এ ছাড়া কেব্ল্ রক্ষণাবেক্ষণের
জন্য প্রতিবছর পাওয়া যাবে ২৯ দশমিক ৩ লাখ টাকা।
অর্থাৎ ইতালির কাছ থেকে প্রতি এমবিপিএস
ব্যান্ডউথের মূল্য পাওয়া যাবে ৯ দশমিক ৫২ টাকা
করে।
সূত্র মতে, বাংলাদেশে ছয়টি ইন্টারন্যাশনাল
টেরেস্ট্রিয়াল কেব্ল্ সার্ভিস (আইটিসি) কম্পানিকে
লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স পাওয়া
কম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ফাইবার অ্যাট
হোম, নভোকম, ম্যাংগো টেলিসার্ভিস, বিডিলিংক
কমিউনিকেশসন, ওয়ান এশিয়া ও সামিট কমিউনিকেশন।
তারা নামমাত্র মূল্যে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির বিপক্ষে।
কম্পানিগুলো যে দামে ইতালির কম্পানিকে
ব্যান্ডউইথ দেওয়া হচ্ছে সে দামেই ব্যান্ডউইথ
কিনতে প্রস্তুত। এমনকি তার থেকে বেশি দামেও
তারা কিনতে আগ্রহী। আর গ্রাহকরা রপ্তানি মূল্যের
থেকে কম মূল্যে ব্যান্ডউইথ পাওয়ার দাবি করে
আসছে।
এ বিষয়ে বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
মনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমাদের অব্যবহৃত
অনেক ব্যান্ডউইথ রয়েছে। এই ব্যান্ডউইথ
ফেলে রেখে কোনো লাভ নেই। কারণ
কেব্লের লাইফটাইমও শেষ হচ্ছে। তাই ইতালির
কম্পানির অনুরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েই
ব্যান্ডউইথ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।'
সংশ্লিষ্টরা জানায়, একটি সাবমেরিন কেব্ল্ স্থায়ী হয়
২০ থেকে ২৫ বছর। বাংলাদেশের এ কেব্ল্টির
যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সাল থেকে। এ হিসাবে ইতালির
প্রতিষ্ঠানটি সাবমেরিন কেব্ল্টি ব্যবহার করতে
পারবে ১১ থেকে ১৬ বছর। বিএসসিসিএল
আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেব্ল্ কনসোর্টিয়াম
সিমিউয়ি-৪-এর সদস্য। কেব্ল্টির সংযোগ ফ্রান্স
থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত। এ কারণে
যেকোনো কম্পানির পক্ষে এ রুটে কেব্ল্
সংযোগ নেওয়া সহজ। এরই ভিত্তিতে ইতালির
প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সাবমেরিন কেব্ল্ নিতে
আগ্রহ প্রকাশ করে। বিষয়টি বিএসসিসিএলের
পরিচালনা পর্ষদের ১১৩তম বৈঠকে উপস্থাপন করা
হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য
কম্পানির পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম
জোয়ার্দ্দারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের
উপকমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির মতামতের
ভিত্তিতে ইতালিতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়।
হয়েছে। আগামী নভেম্বর থেকে রপ্তানি শুরু
হবে। ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রতি
এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের মূল্য পাবে ৬১২ টাকা।
ভারতের পর ইতালিতেও রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সেখান থেকে প্রতি এমবিপিএসের মূল্য পাওয়া
যাবে মাত্র ৯ টাকা ৫২ পয়সা। অথচ একই ব্যান্ডউইথ
ব্যবহারের জন্য দেশীয় গ্রাহকদের ৬২৫ টাকা
পরিশোধ করতে হয়। এ নিয়ে গ্রাহক ও স্থানীয়
কম্পানিগুলোর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি
হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ব্যান্ডউইথ বলতে একটি
নেটওয়ার্ক বা মডেম সংযোগের মাধ্যমে
পাঠানো ডাটার পরিমাণ বোঝায়। এটি সাধারণত 'বাইটস
পার সেকেন্ড' বা বিপিএস দিয়ে পরিমাপ করা হয়।
বাংলাদেশে বর্তমানে ২০০ জিবিপিএস ক্ষমতাসম্পন্ন
সাবমেরিন কেব্ল্ রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩০
জিবিপিএস বাংলাদেশ ব্যবহার করে। বাকিটা অব্যবহৃত
আছে। সরকার অব্যবহৃত এই ব্যান্ডউইথ রপ্তানির
সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত জুনে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ
সফরের সময় সে দেশের রাষ্ট্রীয়
মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ভারত সঞ্চার নিগাম
লিমিটেডের সঙ্গে এ ব্যাপারে চুক্তি হয়। সে
অনুযায়ী রপ্তানির জন্য কেব্ল্ কক্সবাজার থেকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া হয়ে আগরতলা জিরো
পয়েন্ট দিয়ে ভারতে যাবে। আপাতত ১০ জিবিপিএস
ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হবে। ভবিষ্যতে তা বেড়ে
৪০ জিবিপিএস হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম
কালের কণ্ঠকে জানান, ভারতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে
বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায়
এত দিন রপ্তানি শুরু করা যায়নি। সেখানে লাইন
স্থাপনের কাজ চলছে। আগামী ১৫ নভেম্বর
থেকে রপ্তানি শুরুর সর্বশেষ লক্ষ্য নির্ধারণ করা
হয়েছে। ইতালিতেও ব্যান্ডউইথ রপ্তানির
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইতালির কম্পানি 'স্পার্কেলস'-
এর কাছে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল্ কম্পানি লিমিটেড
(বিএসসিসিএল)। ওই কম্পানির কাছে ৫৭ জিবিপিএস
ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হবে। এ থেকে আগামী
১৫ বছরে বাংলাদেশের আয় হবে ৯ দশমিক ৭৭
কোটি টাকা। এ ছাড়া কেব্ল্ রক্ষণাবেক্ষণের
জন্য প্রতিবছর পাওয়া যাবে ২৯ দশমিক ৩ লাখ টাকা।
অর্থাৎ ইতালির কাছ থেকে প্রতি এমবিপিএস
ব্যান্ডউথের মূল্য পাওয়া যাবে ৯ দশমিক ৫২ টাকা
করে।
সূত্র মতে, বাংলাদেশে ছয়টি ইন্টারন্যাশনাল
টেরেস্ট্রিয়াল কেব্ল্ সার্ভিস (আইটিসি) কম্পানিকে
লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স পাওয়া
কম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ফাইবার অ্যাট
হোম, নভোকম, ম্যাংগো টেলিসার্ভিস, বিডিলিংক
কমিউনিকেশসন, ওয়ান এশিয়া ও সামিট কমিউনিকেশন।
তারা নামমাত্র মূল্যে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির বিপক্ষে।
কম্পানিগুলো যে দামে ইতালির কম্পানিকে
ব্যান্ডউইথ দেওয়া হচ্ছে সে দামেই ব্যান্ডউইথ
কিনতে প্রস্তুত। এমনকি তার থেকে বেশি দামেও
তারা কিনতে আগ্রহী। আর গ্রাহকরা রপ্তানি মূল্যের
থেকে কম মূল্যে ব্যান্ডউইথ পাওয়ার দাবি করে
আসছে।
এ বিষয়ে বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
মনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমাদের অব্যবহৃত
অনেক ব্যান্ডউইথ রয়েছে। এই ব্যান্ডউইথ
ফেলে রেখে কোনো লাভ নেই। কারণ
কেব্লের লাইফটাইমও শেষ হচ্ছে। তাই ইতালির
কম্পানির অনুরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েই
ব্যান্ডউইথ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।'
সংশ্লিষ্টরা জানায়, একটি সাবমেরিন কেব্ল্ স্থায়ী হয়
২০ থেকে ২৫ বছর। বাংলাদেশের এ কেব্ল্টির
যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সাল থেকে। এ হিসাবে ইতালির
প্রতিষ্ঠানটি সাবমেরিন কেব্ল্টি ব্যবহার করতে
পারবে ১১ থেকে ১৬ বছর। বিএসসিসিএল
আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেব্ল্ কনসোর্টিয়াম
সিমিউয়ি-৪-এর সদস্য। কেব্ল্টির সংযোগ ফ্রান্স
থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত। এ কারণে
যেকোনো কম্পানির পক্ষে এ রুটে কেব্ল্
সংযোগ নেওয়া সহজ। এরই ভিত্তিতে ইতালির
প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সাবমেরিন কেব্ল্ নিতে
আগ্রহ প্রকাশ করে। বিষয়টি বিএসসিসিএলের
পরিচালনা পর্ষদের ১১৩তম বৈঠকে উপস্থাপন করা
হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য
কম্পানির পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম
জোয়ার্দ্দারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের
উপকমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির মতামতের
ভিত্তিতে ইতালিতে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়।