বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরজুড়ে মাদ্রাসা ছাত্র হত্যার বিক্ষোভ ও আন্দোলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত এক সতীর্থের মৃত্যুর পর শহরজুড়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ চালিয়েছে মাদ্রাসাছাত্ররা। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২ জন পুলিশকর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন, সদর মডেল থানার এ এস পি তাপস রঞ্জন ঘোষ ও সদর মডেল থানার ওসি আকুল  চন্দ্র বিশ্বাস।তাদেরকে প্রত্যাহার করে চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডি আইজি অফিসে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানায়।
 
মোবাইল ক্রয় করাকে কেন্দ্র করে বাবসায়িদের সাথে বিতর্কের জেরে সমস্যার শুরু হয়। সেখানের সংঘর্ষে আহত হয়ে নিহত হন একজন হাফেজে কুরআন। ব্যবসায়িদের সাথে বিবাদের জেরে  স্থানীয় পুলিশ ও ছাত্রলীগ সম্মিলিত ভাবে বিভিন্ন মাদ্রাসায় হামলা চালায়। এ  খবর পেয়ে বিভিন্ন মাদ্রাসার সাধারণ ছাত্ররা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। সাধারণ মানুষ তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বড় বড় মিছিলে রুপ নেয়। তাদের দাবির মুখে অভিযুক্ত এএসপি ও ওসিকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
 
সকালে কয়েকশ’ মাদ্রাসাছাত্র শহরের টিএ রোড, কুমারশীলের মোড়, লোকনাথ ট্যাঙ্কের পাড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পর সাড়ে ১২টার দিকে ভাংচুর শুরু করে।
 
মাদ্রাসাছাত্রদের বিক্ষোভের মধ্যে জেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে বিজিবিও। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এএসপি তাপস রঞ্জন ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি।'
 
১২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নজরুল ইসলাম বলেন, 'শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।'
 
বিজিবি মোতায়েনের পর দুপুর পর্যন্ত শান্ত থাকে ।