বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া বন্ধ

দ্বিতীয় দিনের মত কর্মবিরতি পালন করছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী ক্লাস নেয়ার আহ্বান জানালেও আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ ছিল ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস।
 
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য 'দুঃখজনক' এমন মন্তব্য করে মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষক সমাজ যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে আলোচনা করার সুযোগ পায় তাহলে খুব সহজেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সমঝোতা বা আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি সরকারের এ ধরনের কোন মানসিকতাও আমরা লক্ষ্য করছি না। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।'
 

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ঘুরে দেখা যায়, আগের দিনের মতোই ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিভিন্ন বিভাগের নির্ধারিত পরীক্ষাগুলো শিক্ষকরা নিচ্ছেন। আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একইভাবে ক্লাস বন্ধ রেখে পরীক্ষা নেওয়া হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পরীক্ষাও বন্ধ রেখেছেন।
 

উল্লেখ্য, লাগাতার কর্মবিরতির প্রথম দিন সোমবার রাজধানীতে এক জনসভায় শিক্ষকদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'শিক্ষকদের জন্য আরো কিছু করার থাকলে, সরকার সেটা অবশ্যই বিবেচনা করবে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোন বন্ধ করবেন না। ক্লাস না নিয়ে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করলে তারা তা মেনে নেবে না।'
 
সম্প্রতি চালু হওয়া নতুন বেতন কাঠামোতে ১২৩ ভাগ পর্যন্ত বেতন বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এতো বেতন বাড়ানোর পরেও কেন অসন্তোষ?' সচিবদের মর্যাদা চাইলে শিক্ষকদের ‘বিসিএস দিয়ে সচিব’ হওয়ারও পরামর্শ দেন সরকারপ্রধান