বাংলাদেশ

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, হাজিরের নির্দেশ

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা বিতর্কে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে আদালত। একই সাথে ৩ মার্চের মধ্যে তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে মামলার শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ তালুকদারের আদালত। একই সাথে ৩ মার্চের মধ্যে তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে, সোমবার সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আওয়ামীপন্থী আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।

তারপর বেলা ১১টার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ তালুকদারের আদালতে শুনানি শুরু হয়। বাদীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।

অন্যদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার প্রতিবাদে ঢাকার সিএমএম আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। তারা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দেন। অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন আইনজীবী বিক্ষোভে অংশ নেন।

গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।


তবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।

গতকাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ১২৪-এ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, খালেদা জিয়ার বক্তব্য এ সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। রাষ্ট্রদ্রোহ হয় যদি কেউ সরকার উৎখাতের চেষ্টা করে। যদি কেউ সরকারের প্রতি জনগণকে উসকে দেওয়ার জন্য বক্তৃতা দেয়, তাহলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহ। এখানে খালেদা জিয়া কোনো রাষ্ট্রদ্রোহ করেননি।