নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা জানিয়েছেন, অতীতের নির্বাচনী ইতিহাস অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী থাকার সম্ভাবনা বেশি। আশা করছি এই নির্বাচনেও থাকবে, এখনো আমরা পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নিইনি। আমাদের চিন্তা রয়েছে, সিচুয়েশন অনুযায়ী সেটা করব।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এক সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাসহ অন্যদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, হরতাল-অবরোধ কারা দেবে কি দেবে না, সেটি আমরা বলতে পারবো না। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে। নির্বাচনে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের পরিবেশ তৈরিতে আমরা কাজ করছি। আশা করছি নির্বাচনে পরিবেশ ভালো থাকবে, ভোটাররাও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইসি বলেন, এবার ভোটকেন্দ্রে যেতে কিংবা ভোট দিতে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখালে, হুমকি-ধামকি দিলে শাস্তির আওতায় আনার আইন ছিল না। এবার কমিশন আইন সংশোধন করে এই অপকর্মের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই আইন কঠোরভাবে প্রতিপালন করার জন্য আজ সভাতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস