সরকার রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের সম্পূর্ণ উল্টো কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে ‘ডেইলি ষ্টারে’র ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি গনমাধ্যমকে ‘সাহস করে সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার’ পরামর্শ দেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য মুক্ত গণমাধ্যমের অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করে আরো বলেন, ‘সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’।
কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি সরকার রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যের উল্টো কাজ করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান দীর্ঘ তিন বছর ধরে সরকারের প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কারারুদ্ধ রয়েছেন। তিনি সরকারের সীমাহীন জুলুমের শিকার। উচ্চ আদালত থেকে তার সবগুলো মামলার জামিন হয়েছে এবং কোর্ট থেকে জামিননামাও যথারীতি কারাগারে পৌঁছেছে। কিন্তু তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না।
বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, মাহমুদুর রহমানের সর্বশেষ মামলার জামিননামা গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্র“য়ারি) সন্ধ্যায় কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছে। নিয়ম অনুযায়ী পরদিন শুক্রবার সকালেই তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা। কিন্তু সরকার একটি মানহানির মামলায় পিডব্লিউ বা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার না করার অজুহাত দেখিয়ে তাকে সম্পূর্ণ অন্যায় এবং অবৈধভাবে আটকে রেখেছে।
‘গতকাল মহামান্য চেম্বার জজ আদালত মামলাটি না শুনে আগামিকাল ১১ফেব্র“য়ারি আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন’, জানান তিনি।
রিজভী বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, মাহমুদুর রহমান যাতে জেল থেকে বের হতে না পারেন সেজন্য সরকার নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং তাকে আরো মিথ্যা, হয়রানিমূলক মামলায় জড়ানোর পাঁয়তারা করছে। আমরা কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করছি।
বিডিআর হত্যাকা-, বিচারপতির স্ক্যাইপ কেলেঙ্কারি, শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু-হলমার্ক-বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে তার পত্রিকায় অনুসন্ধানী রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। সরকার তার প্রতি বিরাগভাজন হওয়ার এটাই কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্যই সরকার মাহমুদুর রহমানকে সহ্য করতে না পেরে অন্যায়ভাবে, আইন কানুনের কোনো তোয়াক্কা না করে ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে।
‘এরপর তাকে ১৯দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালায়। তার বিরুদ্ধে একের পর এক ৭০টি মামলা দেয়া হয়,’ জানান রিজভী।
‘বর্তমানে সরকারের অ্যাটার্নি জেনারেলের কাজই হচ্ছে জামিন প্রাপ্ত আসামিরা যাতে জেল থেকে বের হতে না পারেন অনবরত তার চেষ্টা করা,’ অভিযোগ করেন রিজভী।
এসময় তিনি আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, শওকত মাহমুদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ।
কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি সরকার রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যের উল্টো কাজ করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান দীর্ঘ তিন বছর ধরে সরকারের প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কারারুদ্ধ রয়েছেন। তিনি সরকারের সীমাহীন জুলুমের শিকার। উচ্চ আদালত থেকে তার সবগুলো মামলার জামিন হয়েছে এবং কোর্ট থেকে জামিননামাও যথারীতি কারাগারে পৌঁছেছে। কিন্তু তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না।
বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, মাহমুদুর রহমানের সর্বশেষ মামলার জামিননামা গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্র“য়ারি) সন্ধ্যায় কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছে। নিয়ম অনুযায়ী পরদিন শুক্রবার সকালেই তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা। কিন্তু সরকার একটি মানহানির মামলায় পিডব্লিউ বা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার না করার অজুহাত দেখিয়ে তাকে সম্পূর্ণ অন্যায় এবং অবৈধভাবে আটকে রেখেছে।
‘গতকাল মহামান্য চেম্বার জজ আদালত মামলাটি না শুনে আগামিকাল ১১ফেব্র“য়ারি আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন’, জানান তিনি।
রিজভী বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, মাহমুদুর রহমান যাতে জেল থেকে বের হতে না পারেন সেজন্য সরকার নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং তাকে আরো মিথ্যা, হয়রানিমূলক মামলায় জড়ানোর পাঁয়তারা করছে। আমরা কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করছি।
বিডিআর হত্যাকা-, বিচারপতির স্ক্যাইপ কেলেঙ্কারি, শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু-হলমার্ক-বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে তার পত্রিকায় অনুসন্ধানী রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। সরকার তার প্রতি বিরাগভাজন হওয়ার এটাই কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্যই সরকার মাহমুদুর রহমানকে সহ্য করতে না পেরে অন্যায়ভাবে, আইন কানুনের কোনো তোয়াক্কা না করে ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে।
‘এরপর তাকে ১৯দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালায়। তার বিরুদ্ধে একের পর এক ৭০টি মামলা দেয়া হয়,’ জানান রিজভী।
‘বর্তমানে সরকারের অ্যাটার্নি জেনারেলের কাজই হচ্ছে জামিন প্রাপ্ত আসামিরা যাতে জেল থেকে বের হতে না পারেন অনবরত তার চেষ্টা করা,’ অভিযোগ করেন রিজভী।
এসময় তিনি আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, শওকত মাহমুদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ।