বাংলাদেশ

বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে দুই আসামি : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন হতে দেবে না, এ জন্য দেশের মানুষকে পুড়িয়েছে বিএনপি। দেশের মানুষ আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে সোমবার বিকেলে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা মঞ্চে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির শীর্ষ দুই পদে পুনর্নির্বাচিত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকার তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই দলটি জনগণকে কিছু দিতে পারবে না।
বিএনপির কাউন্সিলকে ‘নাটক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, কাকে নির্বাচিত করল? দুজনই আসামি, একজন এতিমের টাকা চুরি করার মামলার আসামি, আরেকজন তো ২১ অগাস্ট মামলার পলাতক আসামি, তার নাম ইন্টারপোলে ওয়ান্টেড তালিকায় আছে। তাহলে এই দল আর কী দেবে?
এনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের দিকটি ইঙ্গিত করেও শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর দল মানুষকে কী দেবে? তারা এদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন দেশের মানুষকে পোড়ালেন, এর জবাব খালেদাকে দিতে হবে। খালেদার সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, খালেদার মন পড়ে থাকে ‘পেয়ারে পাকিস্তানে’।
দেশের সার্বিক উন্নতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎ​সা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ রোল মডেল।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে, কিন্তু জিয়া–এরশাদ–খালেদা এ ভাষণ প্রচারে বারবার বাধা দিতে চেষ্টা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতিকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার চেতনায় গড়ে তোলেন। বঙ্গবন্ধু সাড়ে ৩ বছরের শাসনে বিশ্বের বাংলাদেশের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথমে চট্টগ্রামের আ.লীগ নেতা হান্নান প্রচার করেছিলেন। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকায় দলের নেতারাও তা প্রচার করেন।

দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন।

তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন হাতে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন। সকাল থেকে মাইকে বাজানো হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ, দেশাত্মবোধক গান।