ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে দশ কোটি মার্কিন ডলার লোপাটের ঘটনায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমানের পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি রাবিশে পরিণত করার জন্য অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর দায়ী। ৮০০ কোটি টাকা হ্যাক হয়ে যাওয়ার পরও তারা এখনো দায়িত্ব পালন করছেন কোন নৈতিক অধিকারে? অবিলম্বে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সর্বশেষ বিশাল অঙ্কের অর্থ লোপাটের ঘটনায় দেশের আর্থিক খাতে ব্যাপক ধস নামবে বলেও অর্থনীতিবিদদের উদ্ধৃতি দিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
অর্থ জালিয়াতির ওই ঘটনায় ক্ষমতাসীনরা জড়িত—এমন দাবি করে রিজভী বলেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ন্যক্কারজনক জালিয়াতির ঘটনা এটি। এই টাকা চুরিতে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রভাবশালী মহল ও সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত বলে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বীকার করেছে। সরকারের লোক ছাড়া এত বড় জালিয়াতির ঘটনা কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে দেশবাসী বিশ্বাস করে।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে শেয়ার বাজার, ডেসটিনি, সোনালী ব্যাংকের হল-মার্ক, বেসিক ব্যাংক, জনতা ও রূপালী ব্যাংক কেলেঙ্কারিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ফলে দেশের আর্থিক খাত আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘ওই সব জালিয়াতিতে সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও নেতৃবৃন্দসহ রাঘববোয়ালদের নাম উঠে আসলেও তাদের বিচার না হওয়ায় লুটপাটের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের লুট হওয়া ৮০০ কোটি টাকা এরই জ্বলন্ত প্রমাণ।’
অর্থ জালিয়াতির তদন্তে বিনা কারণে বিদেশ ভ্রমণকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট যাচাই করে অনুসন্ধান দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের যে কর্মকর্তারা গত তিন বছরে সরকারি কাজের বাইরে ঠুনকো অজুহাতে সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, হংকং, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও দুবাই ভ্রমণ করেছেন তাদের পাসপোর্ট যাচাই করে অনুসন্ধান করলেই এই আন্তর্জাতিক জালিয়াত চক্রের রাঘববোয়ালদের সংশ্রব বেরিয়ে আসবে।’
অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে কি না—তা নিয়ে গভীর সংশয় প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘এর আগে ইবিএল ও ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোপাট হয়েছে। সরকার লোক দেখানো তদন্ত ও কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণেই ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্থ লুটপাটের ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সমস্ত ব্যাংক আজ ফোকলা হয়ে পড়েছে। মানুষ এখন আর ব্যাংকে টাকা রাখতে সাহস পাচ্ছে না। দেশে আজ ’৭৪-এর মতো অবস্থা বিরাজ করছে। সে সময় যেভাবে ব্যাংক লুট ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটত তা এখনো অহরহ ঘটছে।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে দেশের আর্থিক খাত ভেঙে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ ধ্বংস হতে আর সময় লাগবে না।’
অর্থ জালিয়াতির বিভিন্ন ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সকল ব্যাংক লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের জোর দাবি জানান বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতাদের মধ্যে আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, আবদুল লতিফ জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি রাবিশে পরিণত করার জন্য অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর দায়ী। ৮০০ কোটি টাকা হ্যাক হয়ে যাওয়ার পরও তারা এখনো দায়িত্ব পালন করছেন কোন নৈতিক অধিকারে? অবিলম্বে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সর্বশেষ বিশাল অঙ্কের অর্থ লোপাটের ঘটনায় দেশের আর্থিক খাতে ব্যাপক ধস নামবে বলেও অর্থনীতিবিদদের উদ্ধৃতি দিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
অর্থ জালিয়াতির ওই ঘটনায় ক্ষমতাসীনরা জড়িত—এমন দাবি করে রিজভী বলেন, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ন্যক্কারজনক জালিয়াতির ঘটনা এটি। এই টাকা চুরিতে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রভাবশালী মহল ও সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত বলে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বীকার করেছে। সরকারের লোক ছাড়া এত বড় জালিয়াতির ঘটনা কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে দেশবাসী বিশ্বাস করে।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে শেয়ার বাজার, ডেসটিনি, সোনালী ব্যাংকের হল-মার্ক, বেসিক ব্যাংক, জনতা ও রূপালী ব্যাংক কেলেঙ্কারিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ফলে দেশের আর্থিক খাত আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘ওই সব জালিয়াতিতে সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও নেতৃবৃন্দসহ রাঘববোয়ালদের নাম উঠে আসলেও তাদের বিচার না হওয়ায় লুটপাটের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের লুট হওয়া ৮০০ কোটি টাকা এরই জ্বলন্ত প্রমাণ।’
অর্থ জালিয়াতির তদন্তে বিনা কারণে বিদেশ ভ্রমণকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট যাচাই করে অনুসন্ধান দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের যে কর্মকর্তারা গত তিন বছরে সরকারি কাজের বাইরে ঠুনকো অজুহাতে সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, হংকং, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও দুবাই ভ্রমণ করেছেন তাদের পাসপোর্ট যাচাই করে অনুসন্ধান করলেই এই আন্তর্জাতিক জালিয়াত চক্রের রাঘববোয়ালদের সংশ্রব বেরিয়ে আসবে।’
অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে কি না—তা নিয়ে গভীর সংশয় প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘এর আগে ইবিএল ও ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোপাট হয়েছে। সরকার লোক দেখানো তদন্ত ও কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণেই ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্থ লুটপাটের ভয়াবহ চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সমস্ত ব্যাংক আজ ফোকলা হয়ে পড়েছে। মানুষ এখন আর ব্যাংকে টাকা রাখতে সাহস পাচ্ছে না। দেশে আজ ’৭৪-এর মতো অবস্থা বিরাজ করছে। সে সময় যেভাবে ব্যাংক লুট ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটত তা এখনো অহরহ ঘটছে।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে দেশের আর্থিক খাত ভেঙে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ ধ্বংস হতে আর সময় লাগবে না।’
অর্থ জালিয়াতির বিভিন্ন ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সকল ব্যাংক লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের জোর দাবি জানান বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতাদের মধ্যে আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, আবদুল লতিফ জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।