বাংলাদেশ

চাঁদপুরে সেই পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উপর পদক্ষেপ

চাঁদপুরে আলোচিত পূবালী ব্যাংকের সব কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। নতুন আরেক দল কর্মকর্তা আগামী রবিবার এই শাখায় যোগ দেওয়ার কথা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পূবালী ব্যাংকের কুমিল্লার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (আরএম) জহিরুল ইসলাম এমন তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গ্রাহকের ৫ কোটি টাকা নিয়ে ব্যবস্থাপক লাপাত্তা হন শহরের নতুন বাজার শাখার ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দী।
তারপর থেকে এই শাখায় গ্রাহক অসন্তোষ বিরাজ করায় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (আরএম) জহিরুল ইসলাম আরো জানান, চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার পূবালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দীর এখনো খোঁজ মেলেনি। তিন গ্রাহকের ৫ কোটি টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাংকের একাধিক তদন্ত টিম কাজ করছে। একই সঙ্গে পৃথকভাবে নিখোঁজ ডায়েরি ও গ্রাহক ওকে এন্টারপ্রাইজের করা মামলার তদন্ত কাজ করছে পুলিশ।
এদিকে ব্যাংকে থাকা ওই ঘটনার পর দায়িত্ব দেওয়া ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবিরসহ সকল কর্মকর্তাকে বদলি করে কুমিল্লা রিজিওনাল অফিসে নেওয়া হয়েছে। আগামী রবিবার থেকে এই শাখায় বদলি হয়ে আসা নতুন সেটআপ গ্রাহক সেবা দেবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, গ্রাহকের আস্থা এবং অসন্তোষ ফিরিয়ে আনতে এই শাখায় নতুন ব্যবস্থাপকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা যোগ দেবেন। লাপাত্তা হওয়ার আগে ওই কর্মকর্তা হাজীগঞ্জের ওকে এন্টারপ্রাইজের ২ কোটি ৪৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা , কচুয়া আশ্রাফপুর এলাকার দলিল লেখক শাখা ব্যবস্থাপককে দিয়েছেন ৭৫ লাখ টাকা এবং চাঁদপুর শহরের ব্যবসায়ী আকবর হোসেন লিটন থেকে কয়েক ভাগে ১ কোটি ৭৬ লাখ নগদ টাকা কৌশলে নিয়ে যান।
ব্যাংকের নিখোঁজ ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দীর খোঁজ গত ৪ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত মেলেনি।
এরইমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত কাজ শুরু করেছে পুলিশ ও দুদক। নিখোঁজ ব্যাংক ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দী (৪০) জেলার কচুয়া উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুমিল্লায় থাকতেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেই বাসায় এখন তালা ঝুলানো।
গত ১৪ জানুয়ারি চাঁদপুর নতুন বাজার শাখায় যোগদান করেন শ্রীকান্ত নন্দী। তার আগে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ব্যবস্থাপক শ্রীকান্ত নন্দীর কোথাও খোঁজ না মেলায় ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশের বাইরে গাঢাকা দিয়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে। ঘটনা সম্পর্কে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, পুরো বিষয়টি পুলিশের একাধিক দল নজরদারিতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তাই শুধু শ্রীকান্ত নন্দী ছাড়াও আরো কেউ জড়িত কি না- তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।   এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস