যশোরের কেশবপুরের হরিহর, আপারভদ্রা ও বুড়িভদ্রা নদীর ৩০ কিলোমিটার এবং ১৮টি সুইচ গেটের মুখ পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। ১৮ কিলোমিটার শুকিয়ে গেছে আপারভদ্রা নদী। দুই সপ্তাহ পরই শুরু হবে বর্ষা মৌসুম। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ওই নদী ও সুইচ গেট দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হলে জলাবদ্ধতার শিকার হবে এলাকার মানুষ।
কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, হরিহর নদীর বালিয়াডাঙ্গা অংশের ৫ কিলোমিটার, বুড়িভদ্রা নদীর মঙ্গলকোট অংশের ৭ কিলোমিটার ও আপারভদ্রা নদীর বড়েঙ্গা থেকে কাশিমপুর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে বিলের তলদেশ থেকে নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে আপার ভদ্রার ওই ১৮ কিলোমিটার নদীতে পানি না থাকায় শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। এ সব নদী খননের লক্ষ্যে প্রকল্প তৈরি করে কপোতাক্ষ নদের সংশোধনী প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে দাখিল করা হলেও অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। যে কারণে নদী খনন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতের আওতায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে বিল খুকশিয়ায় এক কিলোমিটার খাল খনন, বুড়ুলি পাথরার ৬০০ মিটার, আগরহাটী ৬০০ মিটার, ভরতভায়নার দেউল ৪৫০ মিটার ও ভায়না সুইচ গেটের সামনের ৫০০ মিটার খাল খনন কাজ চলছে।
আশির দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপকূলীয় বাঁধ প্রকল্পের আওতায় পোল্ডার নির্মাণের নামে জোয়ার ভাটাবাহী অসংখ্য নদ-নদীকে আবদ্ধ করে ফেলে। এতে জোয়ার ভাটার প্লাবন ভূমি বিল-খাল থেকে নদী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে জোয়ারের পলি প্লাবন ভূমিতে অবক্ষিত হতে না পেরে নদী বক্ষে জমে নদী ভরাটসহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে কপোতাক্ষ, হরিহর, আপারভদ্রা, শ্রীহরিসহ অসংখ্য নদী পলিতে ভরাট হয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হয়। এর প্রভাবে ২০১৭ সালে কেশবপুর শহরসহ গোটা এলাকা পানিতে ডুবে গিয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়।
২০১৯ সালে বন্যার হাত থেকে রক্ষায় পাউবো হরিহর, বুড়িভদ্রা ও আপারভদ্রা নদী খননের উদ্যোগ নেয়। তিন নদীর প্রশস্ততা কমিয়ে খননে প্রায় ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। নদী খনন করা হলেও পানির প্রবাহমান সঠিকভাবে না থাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান না হয়ে ২ বছর যেতে না যেতেই আবারও ওই তিনটি নদী পলিতে ভরাট হয়ে মৃত খালে পরিণত হয়। মঙ্গলকোট গ্রামের আজিজুর রহমান বলেন, হরিহর, বুড়িভদ্রা ও আপারভদ্রা নদীর ভরাটকৃত অংশ খনন করা না হলে এলাকায় আগের মতো জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটির কেশবপুর উপজেলার আহবায়ক আইনজীবী আবুবকর সিদ্দিক বলেন, আগামী বর্ষা শুরুর আগেই নদী খনন না হলে কেশবপুরের পাশাপাশি পাশের উপজেলাগুলোর ব্যাপক এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে এ এলাকার মানুষ মহাবিপাকের ভেতরে পড়ে যাবে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে এলাকার কৃষককে পড়তে হবে বেকায়দায়। তিনি দাবি করেন ভবদহ এলাকার হরি নদী সংলগ্ন একটি বিলে টিআরএম করা না হলে এ এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, নদী খননের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে দাখিল করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ হলে এসব নদী খনন করা হবে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, হরিহর নদীর বালিয়াডাঙ্গা অংশের ৫ কিলোমিটার, বুড়িভদ্রা নদীর মঙ্গলকোট অংশের ৭ কিলোমিটার ও আপারভদ্রা নদীর বড়েঙ্গা থেকে কাশিমপুর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে বিলের তলদেশ থেকে নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে আপার ভদ্রার ওই ১৮ কিলোমিটার নদীতে পানি না থাকায় শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। এ সব নদী খননের লক্ষ্যে প্রকল্প তৈরি করে কপোতাক্ষ নদের সংশোধনী প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে দাখিল করা হলেও অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। যে কারণে নদী খনন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতের আওতায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে বিল খুকশিয়ায় এক কিলোমিটার খাল খনন, বুড়ুলি পাথরার ৬০০ মিটার, আগরহাটী ৬০০ মিটার, ভরতভায়নার দেউল ৪৫০ মিটার ও ভায়না সুইচ গেটের সামনের ৫০০ মিটার খাল খনন কাজ চলছে।
আশির দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপকূলীয় বাঁধ প্রকল্পের আওতায় পোল্ডার নির্মাণের নামে জোয়ার ভাটাবাহী অসংখ্য নদ-নদীকে আবদ্ধ করে ফেলে। এতে জোয়ার ভাটার প্লাবন ভূমি বিল-খাল থেকে নদী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে জোয়ারের পলি প্লাবন ভূমিতে অবক্ষিত হতে না পেরে নদী বক্ষে জমে নদী ভরাটসহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে কপোতাক্ষ, হরিহর, আপারভদ্রা, শ্রীহরিসহ অসংখ্য নদী পলিতে ভরাট হয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হয়। এর প্রভাবে ২০১৭ সালে কেশবপুর শহরসহ গোটা এলাকা পানিতে ডুবে গিয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়।
২০১৯ সালে বন্যার হাত থেকে রক্ষায় পাউবো হরিহর, বুড়িভদ্রা ও আপারভদ্রা নদী খননের উদ্যোগ নেয়। তিন নদীর প্রশস্ততা কমিয়ে খননে প্রায় ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। নদী খনন করা হলেও পানির প্রবাহমান সঠিকভাবে না থাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান না হয়ে ২ বছর যেতে না যেতেই আবারও ওই তিনটি নদী পলিতে ভরাট হয়ে মৃত খালে পরিণত হয়। মঙ্গলকোট গ্রামের আজিজুর রহমান বলেন, হরিহর, বুড়িভদ্রা ও আপারভদ্রা নদীর ভরাটকৃত অংশ খনন করা না হলে এলাকায় আগের মতো জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটির কেশবপুর উপজেলার আহবায়ক আইনজীবী আবুবকর সিদ্দিক বলেন, আগামী বর্ষা শুরুর আগেই নদী খনন না হলে কেশবপুরের পাশাপাশি পাশের উপজেলাগুলোর ব্যাপক এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে এ এলাকার মানুষ মহাবিপাকের ভেতরে পড়ে যাবে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে এলাকার কৃষককে পড়তে হবে বেকায়দায়। তিনি দাবি করেন ভবদহ এলাকার হরি নদী সংলগ্ন একটি বিলে টিআরএম করা না হলে এ এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, নদী খননের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে দাখিল করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ হলে এসব নদী খনন করা হবে। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস