পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৪ কাঠার ওপর নির্মিত ডুপ্লেক্স বাগানবাড়ি আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মঈনুল হাসান রওশনী।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত টিম রূপগঞ্জের আনন্দ হাউজিং সোসাইটি এলাকার এই বাড়িটি জব্দ করে।
তবে জব্দ করা হলেও বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করা যায়নি। দুদকের আঞ্চলিক পরিচালক মঈনুল হাসান রওশনী বলেন, বাড়িটি অত্যাধুনিক তালাবদ্ধ ছিল। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ভেতরে প্রবেশ করা যায়নি। তবে একটি কমিটি করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোরশেদ আলমের হেফাজতে আগামী ৩ দিনের জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে এর ভেতরে থাকা মালামালসহ সবকিছুর জব্দ তালিকা করা হবে। তিনি জানান, দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১২ জুন আদালত তৃতীয় দফায় বেনজীরের আরও বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ করা হয়। সে তালিকায় এ বাংলোটিও রয়েছে।
জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ প্রায় ৮ বছর আগে এলাকার প্রয়াত প্রেমানন্দ সরকারের সন্তানদের কাছ থেকে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় এই জায়গাটি কিনে নেন। ২০২২ সালে এই জমিতে বাড়ি করেন তিনি। বেনজীর মাঝেমধ্যেই এ বাড়িতে আসতেন, রাত্রিযাপনও করতেন। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় বাড়িটিতে কেয়ারটেকারের পাশাপাশি দুটি কুকুরও রাখা হয়েছিল। এর আগে গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অনুসন্ধান শুরু হলে গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশত্যাগ করেন বেনজীর। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
শনিবার (৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত টিম রূপগঞ্জের আনন্দ হাউজিং সোসাইটি এলাকার এই বাড়িটি জব্দ করে।
তবে জব্দ করা হলেও বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করা যায়নি। দুদকের আঞ্চলিক পরিচালক মঈনুল হাসান রওশনী বলেন, বাড়িটি অত্যাধুনিক তালাবদ্ধ ছিল। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ভেতরে প্রবেশ করা যায়নি। তবে একটি কমিটি করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোরশেদ আলমের হেফাজতে আগামী ৩ দিনের জন্য রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে এর ভেতরে থাকা মালামালসহ সবকিছুর জব্দ তালিকা করা হবে। তিনি জানান, দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১২ জুন আদালত তৃতীয় দফায় বেনজীরের আরও বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ করা হয়। সে তালিকায় এ বাংলোটিও রয়েছে।
জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ প্রায় ৮ বছর আগে এলাকার প্রয়াত প্রেমানন্দ সরকারের সন্তানদের কাছ থেকে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় এই জায়গাটি কিনে নেন। ২০২২ সালে এই জমিতে বাড়ি করেন তিনি। বেনজীর মাঝেমধ্যেই এ বাড়িতে আসতেন, রাত্রিযাপনও করতেন। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় বাড়িটিতে কেয়ারটেকারের পাশাপাশি দুটি কুকুরও রাখা হয়েছিল। এর আগে গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অনুসন্ধান শুরু হলে গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশত্যাগ করেন বেনজীর। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস