বাংলাদেশ

রিজার্ভ চুরি, দুর্নীতি ও নির্যাতন ইস্যুকে ভিন্নখাতে নিতে জয় অপহরণ মামলা: ফখরুল

রিজার্ভ চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট ও বিরোধীদলকে নির্যাতনের ভয়াবহ ইস্যুকে ভিন্নখাতে নিতেই প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা প্রচেষ্টার নামে ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মামলা দিয়ে সরকার সাংবাদিক ও সম্পাদকদের গ্রেফতার-হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ অভিযোগ করেন।

বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলায় আবারো দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে শ্যোন এ্যারেষ্ট দেখিয়ে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। রাজকোষ কেলেঙ্কারি সহ সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও বিরোধী দলকে নির্যাতনের ভয়াবহ ইস্যুকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্যই নতুন নতুন ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে এখন সাংবাদিক ও সম্পাদকদেরকে গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে। মানুষের কন্ঠরোধ করে ক্ষমতাকে কীভাবে দীর্ঘস্থায়ী করা যায় সেজন্য বর্তমান শাসকগোষ্ঠী চাপ প্রয়োগ করে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, বিরোধী মতকে সহ্য করতে না পেরে ইতোপূর্বে আমার দেশ সহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে ভোটারবিহীন সরকার। গ্রেফতার করে ভয়াবহ নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয়েছে বেশ কয়েকজন সম্পাদকসহ টেলিভিশন মালিকদের ওপর। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ তিন বছর ধরে কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আবারো কল্পকাহিনী তৈরী করে মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। কারাবন্দি মাহমুদুর রহমান বর্তমানে খুবই অসুস্থ। তিনি বারবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও তাঁকে কেবলমাত্র মানসিকভাবে দুর্বল ও বিপর্যস্ত করতেই সরকার নতুন নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করে রাখছে। যাতে তাঁকে দীর্ঘদিন আটকে রাখা যায়।

ফখরুল আরও বলেন, মাহমুদুর রহমানের ওপর সরকারের এহেন নিপীড়নের উদ্দেশ্য-তাদের লুটপাটের দু:শাসনের বিরুদ্ধে দেশে নি:শব্দ পরিবেশ বজায় রাখা। কারণ, মাহমুদুর রহমান অন্যায়, অত্যাচার আর অবিচারের বিরুদ্ধে এক দু:সাহসী কলমযোদ্ধা ও উচ্চকিত কন্ঠ। আমি সরকারের এহেন ষড়যন্ত্রমূলক মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রিমান্ড আবেদন বাতিল করে নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।”