ঢাকায় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা ৩২১টি ভবন আগামী এক মাসের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ ভবনগুলোর বর্তমান পরিস্থিতির প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে রাজউক ও সিটি করপোরেশনকে এই নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি কমিটি।
রাজধানীতে অনুসন্ধান করে ৩২১টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজউক।
ভবনগুলোর বর্তমান পরিস্থিতির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিতে পেশ করার জন্য রাজউককে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ১৩ এপ্রিলে সংগঠিত ভূমিকম্পে হেলে পড়া ভবনের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিতে পেশ করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে সচিব মো. শাহ্ কামাল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ, রাজউক, শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গণপূর্ত, এলজিইডি, ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি জাতীয় কমিটির সদস্য এবং তথ্য মন্ত্রণালয়সহ অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি সংস্থার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্য সিটি করপোরেশনের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোও একই সময়ের মধ্যে অপসারণ করে এ কমিটিকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবনের গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে, পানির লাইন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ওয়াসাকে এবং হোল্ডিং নম্বর বাতিল করার জন্য সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করা হয়।
সভায় বিগত কমিটির সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, বড় ধরনের ভূমিকম্পে আপনা-আপনি সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইনের এন্ট্রি পয়েন্টে সেন্সর লাগানো হচ্ছে। জনসচেতনতা তৈরির অংশ হিসেবে সারা দেশে ১০ লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ-পরবর্তী সাময়িক আবাসনের জন্য ১০০ কোটি ৮৬ লাখ টাকার তাঁবু কেনা হয়েছে। অস্থায়ী বা ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল তৈরির যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে।
সভায় আরো জানানো হয়, অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য ৬৯ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে দেওয়া হয়েছে। আরো ১৫৯ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। শহর এলাকায় উদ্ধার তৎপরতার জন্য ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা শৃঙ্খলায় আনার জন্য ঢাকা শহরকে আটটি জোনে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে দুবার মহড়া দেওয়া অব্যাহত রাখতে সভায় বলা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিগগিরই আরেকটি মহড়া করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়।
সিটি করপোরেশন এলাকায় সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে নিয়ে জোনভিত্তিক মহড়া ও গণসচেতনতা সভা করার জন্য কমিটি অনুরোধ করে। জনসমাগম এলাকায় লিফলেট ও পোস্টারিং করার জন্যও কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়। জনসচেতনতা তৈরিতে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের অনুরোধ করা হয়।
বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে রাজউক ও সিটি করপোরেশনকে এই নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি কমিটি।
রাজধানীতে অনুসন্ধান করে ৩২১টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজউক।
ভবনগুলোর বর্তমান পরিস্থিতির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিতে পেশ করার জন্য রাজউককে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ১৩ এপ্রিলে সংগঠিত ভূমিকম্পে হেলে পড়া ভবনের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিতে পেশ করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে সচিব মো. শাহ্ কামাল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ, রাজউক, শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গণপূর্ত, এলজিইডি, ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি জাতীয় কমিটির সদস্য এবং তথ্য মন্ত্রণালয়সহ অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি সংস্থার উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্য সিটি করপোরেশনের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোও একই সময়ের মধ্যে অপসারণ করে এ কমিটিকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ সব ভবনের গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে, পানির লাইন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ওয়াসাকে এবং হোল্ডিং নম্বর বাতিল করার জন্য সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করা হয়।
সভায় বিগত কমিটির সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, বড় ধরনের ভূমিকম্পে আপনা-আপনি সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইনের এন্ট্রি পয়েন্টে সেন্সর লাগানো হচ্ছে। জনসচেতনতা তৈরির অংশ হিসেবে সারা দেশে ১০ লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ-পরবর্তী সাময়িক আবাসনের জন্য ১০০ কোটি ৮৬ লাখ টাকার তাঁবু কেনা হয়েছে। অস্থায়ী বা ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল তৈরির যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে।
সভায় আরো জানানো হয়, অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য ৬৯ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে দেওয়া হয়েছে। আরো ১৫৯ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। শহর এলাকায় উদ্ধার তৎপরতার জন্য ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা শৃঙ্খলায় আনার জন্য ঢাকা শহরকে আটটি জোনে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে দুবার মহড়া দেওয়া অব্যাহত রাখতে সভায় বলা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিগগিরই আরেকটি মহড়া করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়।
সিটি করপোরেশন এলাকায় সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে নিয়ে জোনভিত্তিক মহড়া ও গণসচেতনতা সভা করার জন্য কমিটি অনুরোধ করে। জনসমাগম এলাকায় লিফলেট ও পোস্টারিং করার জন্যও কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়। জনসচেতনতা তৈরিতে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের অনুরোধ করা হয়।