বাংলাদেশ

বর্ষসেরা গবেষক জাবি শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান বুয়েট

টানা তিনবারের মতো বর্ষসেরা গবেষকের স্বীকৃতি পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি এএ মামুন নামেই সর্বাধিক পরিচিত। তবে গবেষণায় বর্ষসেরা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট)। বেসরকারিভাবে পরিচালিত ‘সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ’র ‘সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন উইথ বাংলাদেশ অ্যাফিলেশন ইন-২০১৫'র প্রকাশিত এক জরিপের ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালে ৪৪টি আর্টিকেল প্রকাশ করে সবার শীর্ষে অবস্থান করছেন এএ মামুন। অন্যদিকে ২৩টি আর্টিকেল প্রকাশ করে দ্বৈতভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন রাফিল এম এ এবং লুবিং এস পি নামের দুই গবেষক।

একই সাথে ‘সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা তালিকার রেটিংও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ৩৫৪টি আর্টিকেল প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট)। সেরা ১৫ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান পঞ্চম।

অন্যদিকে ৭২টি আর্টিকেল প্রকাশ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারিতে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিজ্ঞান ভিত্তিক অন্যান্য প্রকশনার মধ্যে রয়েছে চারটি বই এবং ৫৯টি অধ্যায়। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২০০টির মতো কম।

পঞ্চম স্থান অর্জন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কি গবেষণা পিছিয়ে পড়ছে- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধ্যাপক এএ মামুন বলেন, এটি সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-শিক্ষকের প্রকাশনা জরিপের সমষ্টি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষক। যা ঢাকা কিংবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অনেক কম। সবাই যদি নিজ জায়গা থেকে গবেষণা কাজ চালিয়ে যান, তবে খুব শিগগিরই আমরাও প্রথম স্থান অর্জন করতে পারব।’