বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বা একাধিক কর্মকর্তার সহযোগিতায় রিজার্ভের অর্থ লুট হয়েছে, ফিলিপাইনে অর্থ সরানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত পাসওয়ার্ড দিয়ে, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করেছে ব্যাংকের কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী, এ চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত আছে, এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এফবিআইয়ের মধ্যে পারস্পরিক বুঝা-পড়া ভাল ছিলনা। টার্গেট ছিল ৮ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার।
এফবিআইয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রভাবশালী পত্রিকা আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এটি আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্যাংকারদের মাঝে নিরাপত্তা ভীতি সঞ্চার করেছে, ফেডারেল রিজার্ভও তদন্ত করছে।
পত্রিকাটি বলছে, অন্তত একজন ব্যাংক কর্মকর্তা এ কাজে জড়িত রয়েছে এমন কিছু বিশ্বস্থ তথ্য-প্রমাণ সমৃদ্ধ ডকুমেন্ট পেয়েছে এফবিআইর তদন্ত দল। ব্যাংকের অভ্যন্তরে থাকা এক কর্মকর্তার সহযোগিতায় হ্যাকররা বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করে। তিনিই হ্যকারদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ঘটনার তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর তদন্ত দলের এক সদস্যের কাছ থেকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ তথ্য পেয়েছে বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে।
এঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরের কর্মকর্তাদের কারসাজি রয়েছে সন্দেহ করে মার্কিন এ তদন্ত দল বলছে, শাস্তিযোগ্য এ নিন্দনীয় কাজটি আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুর্বলতার দিককে উন্মোচিত করেছে। ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত রিজার্ভের অর্থ লুটের এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে আশ্চর্যরকম বুঝা-পড়া দেখা যায়। এফবিআই তদন্ত সংশ্লিষ্ঠ এক ব্যক্তি এ কথা জানায়।
এদিকে, এঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক সুইফট সিস্টেমকে দোষারোপ করেছে। অপরদিকে সুইফট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তার দায় নিবে না।
রিজার্ভ লুটের ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এফবিআইয়ের মধ্যে পারস্পরিক বুঝা-পড়া এবং যোগাযোগের পরিবেশ ভাল ছিলনা। পরে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এফবিআইয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভাল করে। এফবিআই তদন্ত দলের এক সদস্য এ কথা জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে।
প্রতিবেদনে পত্রিকাটি বলছে, রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। একইসঙ্গে তারা বলছে, কম্পিউটার হ্যাকারদের লক্ষ্য ছিল এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি করে নেওয়ার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। বিষয়টিকে তারা ইনসাইড জব উল্লেখ করে বলছে, এ ঘটনার সঙ্গে ব্যাংকের ভিতরের একটি অংশ জড়িত রয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে ৮২০ কোটি টাকা চুরি করে নেয় একটি চক্র।
এফবিআইয়ের সূত্র দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হতে কমপক্ষে এক বিলিয়ন ডলার চুরি করার চেষ্টা করেছিল। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। আন্ত:ব্যাংক লেনদেনে ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারা চুরি করা টাকা ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে নিয়ে যায়।
দুস্কৃতিকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে দশ কোটি ডলার বা ৮২০ কোটি টাকা সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ২০ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পত্রিকাটি লিখছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা এ বিষয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বা একাধিক কর্মকর্তা হ্যাকারদের সহযোগিতা করেছে, তা এফবিআই আমাদের জানায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করতে প্রাণ-পন চেষ্টা করে যাচ্ছে। যদি কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবশ্য প্রকাশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ঘটনায় সুইফটকে দোষ দিচ্ছে। মোট ৩৫টি আদেশের মাধ্যমে এ অর্থ স্থানান্তরের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৫টি বাদে বাকি ৩০টি কার্যকর করা হয়নি। এজন্য ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকেরও দায় রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বোংলাদেশ ব্যাংক বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সুইফটের আইনজীবী কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। নিউইয়র্ক ফেডের মুখপাত্র পর্যন্ত এ তদন্ত দলের রিপোর্টের বিষয়ে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে।
নিউইয়র্কের পত্রিকাটি বলছে, রিজার্ভ চুরির অর্থ উদ্ধার নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের প্রেসিডেন্ট ও সুইফটের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এবং ফেডারেল রিজার্ভ এ ঘটনার তদন্ত করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বা একাধিক কর্মকর্তা এ ঘটনায় জড়িত রয়েছে এমন সন্দেহ ঘটনাটিকে আরো জটিল করে ফেলবে-এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। মূল ঘটনার কারণ বের করা, অর্থ উদ্ধার এবং ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা যাতে না ঘটে তা ঠিক করা আন্তর্জাতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার পরীক্ষা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকৃত পাসওয়ার্ড ব্যবহর করেই অর্থ স্থানান্তরের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সুইফট সিস্টেমকে ব্যবহার করে এই ঘটনা সংগটিত হওয়ায় ব্যাংকের নিরাপত্তা ও ব্যাংকারদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করেছে। অর্থ লেনদেনে সুইফট হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আন্ত:রাষ্ট্রীয় প্রধান মাধ্যম।
এই ঘটনার পর থেকে সুইফট তার গ্রাহক ব্যাংকগুলোকে নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সাইবার আক্রমণ বিষয়ে সতর্ক করেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি করেছে সংঘবদ্ধ দেশি-বিদেশি একটি চক্র। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করছে, এর মধ্যে ১৯.৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শ্রীলংকা থেকে ফেরত আনা গেছে। আর ৮১ মিলিয়ন ডলার রয়েছে ফিলিপাইনে। ফিলিপাইনের প্রচেষ্টায় ব্যবসায়ী কিম অংয়ের কাছ থেকে কিছু ডলার উদ্ধার করতে পেরেছে দেশটি। কিন্তু ফিলিপাইনের পত্রিকাগুলো বলছে, দ্বিতীয় দফায় আরো ৮৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা চুরি করে পাঠানো হয় ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। ফেডারেল রিজার্ভের সন্দেহ হলে সেই অর্থের ছাড় আটকে দেয় ফিলিপাইন। পরে সে অর্থ ফেরত নেয় ফেডারেল রিজার্ভ। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করছে, অর্থ ছাড়ে ৩৫টি আদেশ পাঠানো হয়েছিল ফেডারেল রিজার্ভে। কিন্তু তদন্ত দল কম্পিউটারের তথ্য বের করে দেখতে পায় আদেশ গিয়েছিল ৭০টি। এসব আদেশে টাকা স্থানান্তরের নির্দেশ ছিল প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার। এ পরিমাণ অর্থ ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সে দিন ছিল না। এ কারণে লেনদেনে সন্দেহ হয় ফেডারেল রিজার্ভের। তাই প্রথম দিকের আদেশগুলো কার্যকর হয়। পরের আদেশের বিষয়ে কনফার্মেশন চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়া না পেয়ে অর্থ ছাড় করে ফেডারেল রিজার্ভ।
এফবিআইয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রভাবশালী পত্রিকা আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এটি আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্যাংকারদের মাঝে নিরাপত্তা ভীতি সঞ্চার করেছে, ফেডারেল রিজার্ভও তদন্ত করছে।
পত্রিকাটি বলছে, অন্তত একজন ব্যাংক কর্মকর্তা এ কাজে জড়িত রয়েছে এমন কিছু বিশ্বস্থ তথ্য-প্রমাণ সমৃদ্ধ ডকুমেন্ট পেয়েছে এফবিআইর তদন্ত দল। ব্যাংকের অভ্যন্তরে থাকা এক কর্মকর্তার সহযোগিতায় হ্যাকররা বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করে। তিনিই হ্যকারদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ঘটনার তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর তদন্ত দলের এক সদস্যের কাছ থেকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ তথ্য পেয়েছে বলে পত্রিকাটি জানিয়েছে।
এঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরের কর্মকর্তাদের কারসাজি রয়েছে সন্দেহ করে মার্কিন এ তদন্ত দল বলছে, শাস্তিযোগ্য এ নিন্দনীয় কাজটি আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুর্বলতার দিককে উন্মোচিত করেছে। ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত রিজার্ভের অর্থ লুটের এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে আশ্চর্যরকম বুঝা-পড়া দেখা যায়। এফবিআই তদন্ত সংশ্লিষ্ঠ এক ব্যক্তি এ কথা জানায়।
এদিকে, এঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক সুইফট সিস্টেমকে দোষারোপ করেছে। অপরদিকে সুইফট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তার দায় নিবে না।
রিজার্ভ লুটের ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এফবিআইয়ের মধ্যে পারস্পরিক বুঝা-পড়া এবং যোগাযোগের পরিবেশ ভাল ছিলনা। পরে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এফবিআইয়ের মধ্যে সম্পর্ক ভাল করে। এফবিআই তদন্ত দলের এক সদস্য এ কথা জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে।
প্রতিবেদনে পত্রিকাটি বলছে, রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। একইসঙ্গে তারা বলছে, কম্পিউটার হ্যাকারদের লক্ষ্য ছিল এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি করে নেওয়ার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। বিষয়টিকে তারা ইনসাইড জব উল্লেখ করে বলছে, এ ঘটনার সঙ্গে ব্যাংকের ভিতরের একটি অংশ জড়িত রয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে ৮২০ কোটি টাকা চুরি করে নেয় একটি চক্র।
এফবিআইয়ের সূত্র দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হতে কমপক্ষে এক বিলিয়ন ডলার চুরি করার চেষ্টা করেছিল। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। আন্ত:ব্যাংক লেনদেনে ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারা চুরি করা টাকা ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে নিয়ে যায়।
দুস্কৃতিকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে দশ কোটি ডলার বা ৮২০ কোটি টাকা সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ২০ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পত্রিকাটি লিখছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা এ বিষয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বা একাধিক কর্মকর্তা হ্যাকারদের সহযোগিতা করেছে, তা এফবিআই আমাদের জানায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করতে প্রাণ-পন চেষ্টা করে যাচ্ছে। যদি কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবশ্য প্রকাশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ঘটনায় সুইফটকে দোষ দিচ্ছে। মোট ৩৫টি আদেশের মাধ্যমে এ অর্থ স্থানান্তরের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৫টি বাদে বাকি ৩০টি কার্যকর করা হয়নি। এজন্য ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকেরও দায় রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বোংলাদেশ ব্যাংক বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সুইফটের আইনজীবী কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। নিউইয়র্ক ফেডের মুখপাত্র পর্যন্ত এ তদন্ত দলের রিপোর্টের বিষয়ে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে।
নিউইয়র্কের পত্রিকাটি বলছে, রিজার্ভ চুরির অর্থ উদ্ধার নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের প্রেসিডেন্ট ও সুইফটের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এবং ফেডারেল রিজার্ভ এ ঘটনার তদন্ত করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বা একাধিক কর্মকর্তা এ ঘটনায় জড়িত রয়েছে এমন সন্দেহ ঘটনাটিকে আরো জটিল করে ফেলবে-এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। মূল ঘটনার কারণ বের করা, অর্থ উদ্ধার এবং ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা যাতে না ঘটে তা ঠিক করা আন্তর্জাতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার পরীক্ষা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকৃত পাসওয়ার্ড ব্যবহর করেই অর্থ স্থানান্তরের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সুইফট সিস্টেমকে ব্যবহার করে এই ঘটনা সংগটিত হওয়ায় ব্যাংকের নিরাপত্তা ও ব্যাংকারদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করেছে। অর্থ লেনদেনে সুইফট হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আন্ত:রাষ্ট্রীয় প্রধান মাধ্যম।
এই ঘটনার পর থেকে সুইফট তার গ্রাহক ব্যাংকগুলোকে নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সাইবার আক্রমণ বিষয়ে সতর্ক করেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি করেছে সংঘবদ্ধ দেশি-বিদেশি একটি চক্র। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করছে, এর মধ্যে ১৯.৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শ্রীলংকা থেকে ফেরত আনা গেছে। আর ৮১ মিলিয়ন ডলার রয়েছে ফিলিপাইনে। ফিলিপাইনের প্রচেষ্টায় ব্যবসায়ী কিম অংয়ের কাছ থেকে কিছু ডলার উদ্ধার করতে পেরেছে দেশটি। কিন্তু ফিলিপাইনের পত্রিকাগুলো বলছে, দ্বিতীয় দফায় আরো ৮৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা চুরি করে পাঠানো হয় ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। ফেডারেল রিজার্ভের সন্দেহ হলে সেই অর্থের ছাড় আটকে দেয় ফিলিপাইন। পরে সে অর্থ ফেরত নেয় ফেডারেল রিজার্ভ। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করছে, অর্থ ছাড়ে ৩৫টি আদেশ পাঠানো হয়েছিল ফেডারেল রিজার্ভে। কিন্তু তদন্ত দল কম্পিউটারের তথ্য বের করে দেখতে পায় আদেশ গিয়েছিল ৭০টি। এসব আদেশে টাকা স্থানান্তরের নির্দেশ ছিল প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার। এ পরিমাণ অর্থ ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সে দিন ছিল না। এ কারণে লেনদেনে সন্দেহ হয় ফেডারেল রিজার্ভের। তাই প্রথম দিকের আদেশগুলো কার্যকর হয়। পরের আদেশের বিষয়ে কনফার্মেশন চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়া না পেয়ে অর্থ ছাড় করে ফেডারেল রিজার্ভ।