বাংলাদেশ

‘ব্রেক্সিট : বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না’

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্য বের হয়ে গেলে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. টমাস প্রিঞ্জ।

 

সচিবালয়ে আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ঢাকাস্থ ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিসিস সোফি উবার্ট এবং কেএফডব্লিউর পরিচালক ডেভিড কুঞ্জ উপস্থিত ছিলেন।

 

রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি মনে করি ব্রেক্সিটের প্রভাব পড়বে না বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। ইইউর দেশগুলোর সঙ্গে আগের মতো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চললেও, প্রয়োজনে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমঝোতা করে নেবে বাংলাদেশ।

 

রাষ্ট্রদূত বলেন, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ব্রেক্সিট, কার্গো বিমানে পণ্য রপ্তানির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা এবং তৈরি পোশাক শিল্পের ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানার উন্নয়নে সহায়তা।

 

তিনি বলেন, জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতীতের মতই অটুট থাকবে। ব্রেক্সিটের কারণে বাণিজ্যিক সম্পর্কে কোনো বাধার সৃষ্টি হবে বলে মনে করি না।

 

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এর আগে যুক্তরাজ্য ও অষ্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ থেকে ও কার্গো বিমানে পণ্য রপ্তানির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। গত ২৪ জুন থেকে একই কারণ দেখিয়ে জার্মানিও নিরাপত্তার কারণে বাংলাদেশের কার্গো বিমানে পণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

 

এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, সম্পূর্ণ নিরাপত্তার কারণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। কারণ বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে বেশির ভাগ পোশাক রপ্তানি হয় জাহাজে। কাজেই কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।

 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে ৬০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের অনেক কারখানার পরিশেষ অর্থের অভাবে উন্নয়ন করতে পারছে না। ওইসব কারখানার পরিবেশ উন্নয়নে ৬০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা নিয়ে কথা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে ফ্রান্স এবং বাকি ১০ মিলিয়ন ডলার জার্মানি ও জিআইজেড দেবে। মাত্র এ শতাংশ সুদে এ ঋণ দেওয়া হবে।

 

কবে নাগাদ এ ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। বাংলাদেশ সরকার যখন চাইবে তখনই এ ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। পরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ডেনমার্কেও বিদায়ী রাষ্ট্রদূত হান্নি ফুজাল এস্কজায়ের সাক্ষাৎ করেন।

 

তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেটের অর্থবিল এবং তার সমাপনী বক্তব্য নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি