‘আটকের’ ১৪ দিন পরও পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ শিবির নেতার বিষয়ে কোনো সন্ধান না দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে ছাত্রশিবির।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, পবিত্র রমজান মাসেও পুলিশের অমানবিক কর্মকাণ্ড থেমে নেই। গত ১৩ জুন ঝিনাইদহ থেকে শিবির নেতা শহিদ আল মাহমুদকে ও ১৬ জুন রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৯ নাম্বার রোডের ১১ নাম্বার বাসার ৬ তলা থেকে ছাত্রশিবির ঝিনাইদহ শহর শাখার সাবেক সভাপতি ইবনুল ইসলাম পারভেজ, একই শাখার ছাত্রকল্যাণ ও আইন সম্পাদক এনামুল হক, ঝিনাইদহ পলিটেকনিকের সাবেক ছাত্র আনিসুর রহমানকে সাদা পোষাকদারী পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাদের সন্ধানের দাবিতে সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রদান করা হয়। গত ২১ জুন স্বীকারোক্তির নাটক সাজিয়ে শিবির নেতা এনামুলকে গোপনে আদালতে হাজির করে পুলিশ। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বাকি ৩ নেতাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
তারা বলেন, সন্ধানের দাবিতে তাদের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে। সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিক বিবৃতি প্রদান ও দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোন কিছুতেই কর্ণপাত করছে না। কিন্তু তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে গুম করে রেখেছে তা প্রমাণিত। গত ১৩ জুন ঝিনাইদহ শহরের বদনপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তারের সময় উপস্থিত জনতা তাদের মধ্য থেকে এসআই আমিনুর ও এসআই উজ্জলকে চিনতে পারে। অন্যদিকে রাজধানীতে গ্রেপ্তার হওয়া ৩ জনের মধ্যে একজনকে হাজির করে পুলিশ গ্রেপ্তারের বিষয়টির প্রমাণ দিয়েছে। এরপরও পুলিশ কার ইশারায়, কী উদ্দেশ্যে তাদের বেআইনি ভাবে আটক রেখেছে তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। পুলিশের এই আচরণ সরাসরি আইনের লঙ্ঘন। পুলিশের এমন অস্বাভাবিক আচরণে আমাদের মনে নানা আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। আমরা মনে করছি নতুন কোন নাটকের জন্ম দিতেই তাদেরকে গুম করে রেখেছে পুলিশ। কেননা এর আগেও এভাবে গ্রেপ্তারের পর আটক রেখে নানা নাটক সাজানো হয়েছে। তাছাড়া ঝিনাইদহতেই অনেক ছাত্র-শিক্ষককে বেআইনি ভাবে গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার করে রাতের আধাঁরে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে পুলিশ। যা আমাদের উদ্বেগকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
শিবির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা মনে করি, কোন অশুভ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতেই ঝিনাইদহের মেধাবী ছাত্রদের টার্গেট করেছে সরকার ও পুলিশ। সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে ইতিমধ্যেই টার্গেট কিলিংয়ের মধ্যদিয়ে আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে। একেরপর এক মেধাবী ছাত্রদের টার্গেট করে হত্যা করেছে পুলিশ। কোন অভিযোগ ছাড়াই মা বাবাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি রেখে একজন নিরপরাধ মাদ্রাসা ছাত্রকে ও রাজধানী থেকে আরও ৩ ছাত্রকে গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার এবং নাটক সাজানো কোন ভাবেই স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এই বেআইনি কর্মকা- সুদূর প্রসারী কোন গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, বেআইনি গ্রেপ্তার ও গুমকারীরা চিহ্নিত। জনগণ তাদের পরিচয় জানে। সুতরাং এই নিরপরাধ ছাত্রদের নিয়ে কোন প্রকার নাটক বা তাদের সামান্যতম ক্ষতি ছাত্রশিবির মেনে নিবে না। অবিলম্বে আমরা গ্রেপ্তারকৃত শিবির নেতাদের অবস্থান নিশ্চিত ও তাদের আদালতে হাজিরের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, পবিত্র রমজান মাসেও পুলিশের অমানবিক কর্মকাণ্ড থেমে নেই। গত ১৩ জুন ঝিনাইদহ থেকে শিবির নেতা শহিদ আল মাহমুদকে ও ১৬ জুন রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৯ নাম্বার রোডের ১১ নাম্বার বাসার ৬ তলা থেকে ছাত্রশিবির ঝিনাইদহ শহর শাখার সাবেক সভাপতি ইবনুল ইসলাম পারভেজ, একই শাখার ছাত্রকল্যাণ ও আইন সম্পাদক এনামুল হক, ঝিনাইদহ পলিটেকনিকের সাবেক ছাত্র আনিসুর রহমানকে সাদা পোষাকদারী পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাদের সন্ধানের দাবিতে সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রদান করা হয়। গত ২১ জুন স্বীকারোক্তির নাটক সাজিয়ে শিবির নেতা এনামুলকে গোপনে আদালতে হাজির করে পুলিশ। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বাকি ৩ নেতাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
তারা বলেন, সন্ধানের দাবিতে তাদের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে। সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিক বিবৃতি প্রদান ও দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোন কিছুতেই কর্ণপাত করছে না। কিন্তু তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে গুম করে রেখেছে তা প্রমাণিত। গত ১৩ জুন ঝিনাইদহ শহরের বদনপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তারের সময় উপস্থিত জনতা তাদের মধ্য থেকে এসআই আমিনুর ও এসআই উজ্জলকে চিনতে পারে। অন্যদিকে রাজধানীতে গ্রেপ্তার হওয়া ৩ জনের মধ্যে একজনকে হাজির করে পুলিশ গ্রেপ্তারের বিষয়টির প্রমাণ দিয়েছে। এরপরও পুলিশ কার ইশারায়, কী উদ্দেশ্যে তাদের বেআইনি ভাবে আটক রেখেছে তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। পুলিশের এই আচরণ সরাসরি আইনের লঙ্ঘন। পুলিশের এমন অস্বাভাবিক আচরণে আমাদের মনে নানা আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। আমরা মনে করছি নতুন কোন নাটকের জন্ম দিতেই তাদেরকে গুম করে রেখেছে পুলিশ। কেননা এর আগেও এভাবে গ্রেপ্তারের পর আটক রেখে নানা নাটক সাজানো হয়েছে। তাছাড়া ঝিনাইদহতেই অনেক ছাত্র-শিক্ষককে বেআইনি ভাবে গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার করে রাতের আধাঁরে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে পুলিশ। যা আমাদের উদ্বেগকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
শিবির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা মনে করি, কোন অশুভ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতেই ঝিনাইদহের মেধাবী ছাত্রদের টার্গেট করেছে সরকার ও পুলিশ। সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে ইতিমধ্যেই টার্গেট কিলিংয়ের মধ্যদিয়ে আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে। একেরপর এক মেধাবী ছাত্রদের টার্গেট করে হত্যা করেছে পুলিশ। কোন অভিযোগ ছাড়াই মা বাবাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি রেখে একজন নিরপরাধ মাদ্রাসা ছাত্রকে ও রাজধানী থেকে আরও ৩ ছাত্রকে গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার এবং নাটক সাজানো কোন ভাবেই স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এই বেআইনি কর্মকা- সুদূর প্রসারী কোন গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, বেআইনি গ্রেপ্তার ও গুমকারীরা চিহ্নিত। জনগণ তাদের পরিচয় জানে। সুতরাং এই নিরপরাধ ছাত্রদের নিয়ে কোন প্রকার নাটক বা তাদের সামান্যতম ক্ষতি ছাত্রশিবির মেনে নিবে না। অবিলম্বে আমরা গ্রেপ্তারকৃত শিবির নেতাদের অবস্থান নিশ্চিত ও তাদের আদালতে হাজিরের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি