গত ছয় মাসে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক নিহত হয়েছেন পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক) এ তথ্য জানায়। দেশের প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিকের তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানায় তারা।
তাদের দেয়া তথ্য মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত ৭৯ জনের মধ্যে র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২৪ জন, পুলিশের সাথে ৩০ জন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাথে ৭জন এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাথে বন্দুকযুদ্ধে ১জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া পুলিশের নির্যাতনে ৫জন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নির্যাতনে ১জন, পুলিশের গুলিতে ৫জন, বিজিবির গুলিতে ১জন নিহত হয়েছেন। তাছাড়া থানা হেফাজতে অসুস্থ হয়ে ৪জন এবং রহস্যজনকভাবে আরো ১জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী- পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকে ৫০জনকে আটক করার ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় তারা। এর মধ্যে পরবর্তীতে ৬জনের লাশ পাওয়া গেছে। ২জন ফেরত এসেছে, ৪জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করে আসক।
আসক জানায়, এ সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত ছয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে ৬৯৩টি। এতে ১৪২জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৯০৮৫জন। রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে ১১৮টি। এতে নিহতের সংখ্যা ১২জন, আহত ১২০৫জন।
আসক আরো জানায়, গত ছয় মাসে শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এসময়ে বিভিন্নস্থানে ৫৯১ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে ২৩৫জন, ১৫জন শিশু আত্মহত্যা করেছেন।
জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত ৩০৬জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে ২০জনকে।
তারা জানায়, এ সময়ের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫জন হত্যার শিকার হয়েছেন। ৬৬টি হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৪৯টি মন্দিরে হামলা এবং মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তাছাড়া ১০০টি হিন্দু পরিবার গ্রাম ছাড়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করে তারা।
গত ছয় মাসে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ১২জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আসক। এসময়ে ৭৪জন সাংবাদিক বিভিন্ন সময়ে হয়রানির শিকার হয়েছে।
কারা হেফাজতে ৪২জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গণপিটুনীতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৩১টি।
এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ১৭জন নারী। যৌন হয়রানীর ফলে ৩জন নারী আত্মহত্যা করেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করে তারা।
তাছাড়া পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২০৯জন নারী। এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ১৪০জনকে, নির্যাতন পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছেন ২৭জন।
এছাড়া গত ছয় মাসে ৩৬জন গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানায় আসক।
এ সময়ে দেশের ৭টি বিভাগের বিভিন্নস্থানে ১৩ বার ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করে দেশের প্রথম সারির এই মানবাধিকার সংগঠনটি।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
বৃহস্পতিবার আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক) এ তথ্য জানায়। দেশের প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিকের তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানায় তারা।
তাদের দেয়া তথ্য মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত ৭৯ জনের মধ্যে র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২৪ জন, পুলিশের সাথে ৩০ জন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাথে ৭জন এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাথে বন্দুকযুদ্ধে ১জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া পুলিশের নির্যাতনে ৫জন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নির্যাতনে ১জন, পুলিশের গুলিতে ৫জন, বিজিবির গুলিতে ১জন নিহত হয়েছেন। তাছাড়া থানা হেফাজতে অসুস্থ হয়ে ৪জন এবং রহস্যজনকভাবে আরো ১জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী- পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকে ৫০জনকে আটক করার ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় তারা। এর মধ্যে পরবর্তীতে ৬জনের লাশ পাওয়া গেছে। ২জন ফেরত এসেছে, ৪জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করে আসক।
আসক জানায়, এ সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত ছয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে ৬৯৩টি। এতে ১৪২জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৯০৮৫জন। রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে ১১৮টি। এতে নিহতের সংখ্যা ১২জন, আহত ১২০৫জন।
আসক আরো জানায়, গত ছয় মাসে শিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এসময়ে বিভিন্নস্থানে ৫৯১ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে ২৩৫জন, ১৫জন শিশু আত্মহত্যা করেছেন।
জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত ৩০৬জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে ২০জনকে।
তারা জানায়, এ সময়ের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫জন হত্যার শিকার হয়েছেন। ৬৬টি হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৪৯টি মন্দিরে হামলা এবং মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তাছাড়া ১০০টি হিন্দু পরিবার গ্রাম ছাড়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করে তারা।
গত ছয় মাসে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ১২জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আসক। এসময়ে ৭৪জন সাংবাদিক বিভিন্ন সময়ে হয়রানির শিকার হয়েছে।
কারা হেফাজতে ৪২জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গণপিটুনীতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৩১টি।
এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ১৭জন নারী। যৌন হয়রানীর ফলে ৩জন নারী আত্মহত্যা করেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করে তারা।
তাছাড়া পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২০৯জন নারী। এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ১৪০জনকে, নির্যাতন পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছেন ২৭জন।
এছাড়া গত ছয় মাসে ৩৬জন গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানায় আসক।
এ সময়ে দেশের ৭টি বিভাগের বিভিন্নস্থানে ১৩ বার ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করে দেশের প্রথম সারির এই মানবাধিকার সংগঠনটি।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি