জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট। পাসকৃত বাজেটে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে বিভিন্ন পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে অর্থ বরাদ্দের সময় সংসদে ৪২০টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন বিভিন্ন সংসদ সদস্য। তবে কণ্ঠভোটে সব ছাঁটাই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।
এছাড়া মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য যেসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, সেগুলোও অপরিবর্তিত থাকছে।
গত ২ জুন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বুধবার বাজেট আলোচনার ওপর সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.০৫ শতাংশ। অর্থাৎ চলতি অর্থবছর আমরা জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূচকে যে ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পূর্বাভাস দিচ্ছে। বিশেষ করে ব্যক্তিখাতে ঋণ সরবরাহ, আমদানি-রপ্তানি, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ, প্রবাস নিয়োগ, কৃষি ও শিল্পোত্পাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
এপ্রিলে ব্যক্তিখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫.৬ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। অন্যদিকে অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি বিনিয়োগ ও নতুন বেতন স্কেলের পূর্ণ বাস্তবায়নের ফলে ভোগ-ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া প্রবাস নিয়োগের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রবাস আয়ের প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি ও ক্রমহ্রাসমান মূল্যস্ফীতির সঙ্গে প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধি ব্যক্তিখাতে ভোগ ও বিনিয়োগ উভয় ব্যয়ই বাড়াবে। এসব বিবেচনায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি।
রূপকল্প অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যও বহাল থাকছে । আর বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আগামী অর্থবছরে দেশে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৪ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হবে বলে মনে করে সরকার। বর্তমানে এর পরিমাণ ৩ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা।
এদিকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা ও পরিবহন খাতসহ অন্যান্য খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে যে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে, তা বহাল থাকছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সার্বিক শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ৩১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৯ কোটি টাকায়। জিডিপির অনুপাতেও এ বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য বেড়েছে।
স্বাস্থ্য খাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৭ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ১২ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা। অর্থাত্ এক বছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৩৮ শতাংশ।
কৃষিতে বরাদ্দের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষি খাতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের চাহিদার আলোকে আমরা প্রস্তাবিত বাজেটে মোট বরাদ্দ রেখেছি ১৩ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা, যা চলমান অর্থবছরে ছিল ১১ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। সার ও সেচকাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণে প্রণোদনা বাবদ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে আমরা ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছি।
এর বাইরে বিদ্যুৎ উত্পাদন ও শিল্প-কারখানায় নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়ার বিষয়ে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, তাও বহাল থাকছে। কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণে যে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল, বহাল থাকছে তাও।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে অর্থ বরাদ্দের সময় সংসদে ৪২০টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন বিভিন্ন সংসদ সদস্য। তবে কণ্ঠভোটে সব ছাঁটাই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।
এছাড়া মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য যেসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, সেগুলোও অপরিবর্তিত থাকছে।
গত ২ জুন ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বুধবার বাজেট আলোচনার ওপর সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.০৫ শতাংশ। অর্থাৎ চলতি অর্থবছর আমরা জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূচকে যে ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা আগামী অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পূর্বাভাস দিচ্ছে। বিশেষ করে ব্যক্তিখাতে ঋণ সরবরাহ, আমদানি-রপ্তানি, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ, প্রবাস নিয়োগ, কৃষি ও শিল্পোত্পাদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
এপ্রিলে ব্যক্তিখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫.৬ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। অন্যদিকে অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি বিনিয়োগ ও নতুন বেতন স্কেলের পূর্ণ বাস্তবায়নের ফলে ভোগ-ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া প্রবাস নিয়োগের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রবাস আয়ের প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি ও ক্রমহ্রাসমান মূল্যস্ফীতির সঙ্গে প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধি ব্যক্তিখাতে ভোগ ও বিনিয়োগ উভয় ব্যয়ই বাড়াবে। এসব বিবেচনায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি।
রূপকল্প অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যও বহাল থাকছে । আর বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আগামী অর্থবছরে দেশে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৪ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হবে বলে মনে করে সরকার। বর্তমানে এর পরিমাণ ৩ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা।
এদিকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা ও পরিবহন খাতসহ অন্যান্য খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে যে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে, তা বহাল থাকছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সার্বিক শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ৩১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা, যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৯ কোটি টাকায়। জিডিপির অনুপাতেও এ বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য বেড়েছে।
স্বাস্থ্য খাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৭ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ১২ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা। অর্থাত্ এক বছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৩৮ শতাংশ।
কৃষিতে বরাদ্দের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষি খাতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের চাহিদার আলোকে আমরা প্রস্তাবিত বাজেটে মোট বরাদ্দ রেখেছি ১৩ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা, যা চলমান অর্থবছরে ছিল ১১ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। সার ও সেচকাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণে প্রণোদনা বাবদ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে আমরা ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছি।
এর বাইরে বিদ্যুৎ উত্পাদন ও শিল্প-কারখানায় নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়ার বিষয়ে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, তাও বহাল থাকছে। কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণে যে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল, বহাল থাকছে তাও।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি