বাংলাদেশ

নিখোঁজ যুবকদের তালিকা করতে পুলিশকে নির্দেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সারা দেশে নিখোঁজ যুবকদের একটি তালিকা তৈরি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। গত সপ্তাহে গুলশানে হামলাকারীরা কয়েক মাস নিখোঁজ থাকার পর কেবল হত্যাকান্ড ঘটাতে পুনার্বির্ভূত হওয়ায় এই নির্দেশ দেয়া হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বাসসকে বলেন, “সারাদেশের সব থানায় নিখোঁজ যুবকদের একটি তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিতে আজ আমি পুলিশ পরিদর্শককে (আইজিপি) একটি চিঠি পাঠিয়েছি।”

বর্তমানে ১৫০ যুবক নিখোঁজ রয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে তিনি বলেন, এ রিপোর্ট ধারণাপ্রসূত।

অন্যদিকে তিনি বলেন, “বেশকিছু যুবক বাসায় ফিরে এসেছে। দেখা গেছে, কিছু কিছু নিখোঁজ যুবকদের সন্ত্রাসের সঙ্গে যোগসূত্র নেই।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  বলেন, “পুলিশের রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা নিখোঁজ যুবকদের সংখ্যার ব্যাপারে একটি ধারণা পাবো। এটা আমাদের সন্ত্রাস বিরোধী নিরাপত্তা অভিযানের জন্য প্রয়োজন হবে।”

তিনি বলেন, “পুলিশ নিখোঁজ যুবকদের তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রতিবেশীদের সহায়তা চাইবে এবং তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবে।”

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ অজ্ঞাত কারণে কোনো শিক্ষার্থী দশ দিন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নির্দেশনা দেন।

গুলশানে হামলাকারীরা ৬ মাস এবং তারও বেশী সময় নিখোঁজ ছিলো। গত ২ জুলাই সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এক কমান্ডো অভিযানে নিহত হওয়ার পর তাদের পরিবার তাদের সম্পর্কে জানতে পারে।

দেশে দুটি ইসলামী হামলার সঙ্গে সম্ভাব্য আইএস’র যোগসূত্রের ব্যাপারে তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে কি-না জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী দেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবি এই হত্যাকান্ড চালিয়েছে।’

মন্ত্রী  বলেন, “তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তারা (সন্ত্রাসীরা) একে আইএস’র সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা করছে’ এই হামলার জন্য তাদের কেউই সিরিয়া অথবা অন্য কোনো দেশ থেকে আসেনি।”

এর আগে আজ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “বাংলাদেশে হামলায় আইএস’র জড়িত থাকার কোনো বৈধ প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”

আইনমন্ত্রী বলেন, “তবে সন্ত্রাসীরা আইএসের নামে তাদের কার্যকলাপ তুলে ধরতে আইএসের মিডিয়া আউটলেটের সঙ্গে যোগসূত্র থাকতে পারে।”