নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত দামের পেছনে বিপণন ব্যবস্থার জটিলতা ও মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেছেন, অদৃশ্য হাতের ছোঁয়ায় ৩০ টাকার পটোল কারওয়ান বাজারেই ৭০ টাকা হয়ে যায়। সিন্ডিকেটের এই দৌরাত্ম্য থামাতে পূর্বাচলে ৩০০ ফিট সড়কের পাশে শাকসবজি বিক্রির একটি নতুন হাব চালু হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘ক্যাবের কার্যক্রম অবহিতকরণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সফিকুজ্জামান। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ক্যাব সভাপতি বলেন, ৩০ টাকার পটোল কারওয়ান বাজারের উত্তর গেট দিয়ে ঢোকে। ওই পটোলই পাইকারি বা খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৭০ টাকা কেজিতে।
তিনি আরও বলেন, ভোক্তা ১০০ টাকায় যে সবজিটা কিনেছেন, কৃষক যদি সেটি থেকে ৮০ টাকা পেতেন, তাহলে কারও কষ্ট হতো না। কারণ ওই টাকাটা কৃষক পেয়েছেন। কৃষক পাচ্ছেন মাত্র ৩০ টাকা। মাঝখানে ৩০ টাকার জিনিসটা ভোক্তা কিনে ১০০ টাকায়। তাহলে এই ৭০ টাকা কোথায় গেল? ৭০ টাকা মূলত পথে পথে চলে যাচ্ছে। এই সমস্যার মূলে রয়েছে দেশের ত্রুটিপূর্ণ উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা, যা এখনও আধুনিক ও সমবায়ভিত্তিক করা সম্ভব হয়নি। ক্যাব সভাপতি বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে কারওয়ান বাজারের আদলে ৩০০ ফিটের পাশে একটি হাব তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে কৃষকেরা সরাসরি সবজি বিক্রি করবেন। তাদের কাছ থেকে পণ্য কিনে নিয়ে সরাসরি বাজারে চলে যাবেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। ২০ টাকা বা তারও কমে সেখান থেকে সবজি কেনা যাবে। সফিকুজ্জামান বলেন, সবজির বাজারে কোনো নির্দিষ্ট করপোরেট গ্রুপ সিন্ডিকেট করে না, বরং এর পেছনে রয়েছে অসংখ্য মধ্যস্বত্বভোগীর অদৃশ্য হাত। এই হাতগুলো দেখা যায় না। যথাযথ ব্যবস্থা না নিতে পারলে এই ফড়িয়া, দালাল ও আড়তদার থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। ক্যাব সভাপতি জানান, তাদের সংস্থা সরাসরি আইন প্রয়োগকারী না হলেও তারা অনিয়ম প্রতিরোধে প্রশাসনিক ও আইনি উভয় পথেই অগ্রসর হবে। বিএসটিআই এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ক্যাবের কাজ হবে সুনির্দিষ্ট অনিয়মগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে চাপ সৃষ্টি করা।
তিনি আরও বলেন, ভোক্তা ১০০ টাকায় যে সবজিটা কিনেছেন, কৃষক যদি সেটি থেকে ৮০ টাকা পেতেন, তাহলে কারও কষ্ট হতো না। কারণ ওই টাকাটা কৃষক পেয়েছেন। কৃষক পাচ্ছেন মাত্র ৩০ টাকা। মাঝখানে ৩০ টাকার জিনিসটা ভোক্তা কিনে ১০০ টাকায়। তাহলে এই ৭০ টাকা কোথায় গেল? ৭০ টাকা মূলত পথে পথে চলে যাচ্ছে। এই সমস্যার মূলে রয়েছে দেশের ত্রুটিপূর্ণ উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা, যা এখনও আধুনিক ও সমবায়ভিত্তিক করা সম্ভব হয়নি। ক্যাব সভাপতি বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে কারওয়ান বাজারের আদলে ৩০০ ফিটের পাশে একটি হাব তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে কৃষকেরা সরাসরি সবজি বিক্রি করবেন। তাদের কাছ থেকে পণ্য কিনে নিয়ে সরাসরি বাজারে চলে যাবেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। ২০ টাকা বা তারও কমে সেখান থেকে সবজি কেনা যাবে। সফিকুজ্জামান বলেন, সবজির বাজারে কোনো নির্দিষ্ট করপোরেট গ্রুপ সিন্ডিকেট করে না, বরং এর পেছনে রয়েছে অসংখ্য মধ্যস্বত্বভোগীর অদৃশ্য হাত। এই হাতগুলো দেখা যায় না। যথাযথ ব্যবস্থা না নিতে পারলে এই ফড়িয়া, দালাল ও আড়তদার থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। ক্যাব সভাপতি জানান, তাদের সংস্থা সরাসরি আইন প্রয়োগকারী না হলেও তারা অনিয়ম প্রতিরোধে প্রশাসনিক ও আইনি উভয় পথেই অগ্রসর হবে। বিএসটিআই এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ক্যাবের কাজ হবে সুনির্দিষ্ট অনিয়মগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে চাপ সৃষ্টি করা।